chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জনসংখ্যায় চীনকে টপকে শীর্ষে ভারত

প্রতিবেশী দেশ ভারতে হুহু করে জনসংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে গেল বছরে তুলনামূলকভাবে এ সংখ্যা কমেছে চীনে। ফলে জনসংখ্যার দিক থেকে চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে অবস্থান করছেন ভারত।

২০২২ সালের শেষনাগাদ ভারতের জনসংখ্যা পৌঁছেছে ১৪১ কোটি ৭০ লাখে। একই সময়ে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ২০ লাখ।

অর্থাৎ চীনের চেয়ে ৫০ লাখ জনসংখ্যা বেশি ভারতের। এ তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ। দেশটির জনগোষ্ঠির প্রায় অর্ধেকের বয়স ৩০ এর নিচে। বিরাট সংখ্যক এ জনসংখ্যা নিয়ে বেকারত্ব সংকটে পরতে পারে ভারত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম হলেও ২০৫০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বাড়তে পারে। আর এ জনসংখ্যা নিয়মিত বাড়ার কারণেই বেকারত্ব মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

তাদের মতে, বেকারত্ম দূর করতে ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রায় ২০ কোটি মানুষ ভারতের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি জমিয়েছেন। এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। এর বড় একটি কারণ, গ্রামে কাজের সংকট ও নিম্ন মজুরি। ফলে মানুষ কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে শহরে চলে যাচ্ছেন।

কেরালাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বিশেষজ্ঞ এস ইরুদায়া রাজনের ভাষ্যমতে, জনসংখ্যার স্থানান্তরের ফলে শহরে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

এখন শহরে এই মানুষগুলো মানসম্মত জীবনযাপন করতে পারবে কি না, সেটা বড় একটি প্রশ্ন। সেটা না হলে শহরাঞ্চলে বস্তির সংখ্যা বাড়বে, দেখা দেবে রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব।

জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকের কারণ হবে এশিয়া ও আফ্রিকার ৮টি দেশ। সেগুলো হল কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপাইন ও ভারত। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর