chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জিপিএসের সাহায্যে উদ্ধার হলো চুরি হওয়া অটোরিকশা, আটক ১

গ্যারেজ থেকে সিএনজিচালিত তিনটি অটোরিকশা রাতের আঁধারে চুরি করে পালিয়ে যান তিন ব্যক্তি। তবে পথে হঠাৎ একটি অটোরিকশার চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যান। এতে বিকট শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন চালকবিহীন অবস্থায় একটি অটোরিকশা খাদে পড়ে আছে। ততক্ষণে অন্য দুটি অটোরিকশা নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যান।

অটোরিকশা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন ওই দুই অটোরিকশার মালিক। তবে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) মাধ্যমে দুই মালিক দেখতে পান, তাঁদের অটোরিকশা তখন মিরসরাই উপজেলা পার হয়ে যাচ্ছে। পরে তাঁরা ধাওয়া করে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অটোরিকশা দুটি উদ্ধার করেন। গতকাল রোববার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

চুরি হওয়া তিনটি অটোরিকশার মালিক হলেন—মুলকুতুর রহমান, আরিফ হোসেন ও মো. রিটন। তাঁদের তিনজনের বাড়ি মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী গ্রামে। এদিকে কুমিল্লা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধারের সময় গিয়াস উদ্দিন নামের এক চোরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত চার মাসে গুলিয়াখালী গ্রাম থেকে সাতটি অটোরিকশা চুরি হয়েছে। প্রথম কয়েকটি অটোরিকশা চুরির পর স্থানীয় লোকজন চোর ধরতে পাহারা দেওয়াসহ নানা কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন। পরে এলাকার অটোরিকশাগুলোতে জিপিএস চালু করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, আনুমানিক দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে চোরের দল তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা গ্যারেজের তালা ভেঙে তিনটি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুটি অটোরিকশা কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত নিয়ে যায়। অন্যটি গ্যারেজ থেকে বের করার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বিকট শব্দ স্থানীয় বাসিন্দারা জেগে ওঠেন। পরে জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে গাড়ির লোকেশন বের করে তাঁরা চুরি হওয়া অটোরিকশা দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লায় গিয়াস উদ্দিনকে চুরি হওয়া অটোরিকশাসহ আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে গিয়াসকে গুলিয়াখালী এলাকায় আনা হলে উত্তেজিত লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গিয়াসকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাব্বির হোসেন গাজী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াস অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। অটোরিকশা চুরির সঙ্গে কারা জড়িত এ বিষয়ে তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা মামলা করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধার হওয়া অটোরিকশাটি নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। আর কুমিল্লায় উদ্ধার হওয়া অটোরিকশাটি পুলিশি হেফাজতে আছে।

এই বিভাগের আরও খবর