chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরুন-মাহাতাব

চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সরকারের তৎপরতায় ১৯৯৯ সালের ১৯নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করেন।

এর প্রায় এক দশক পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদেই ২০১০ সালের ২১অক্টোবর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সেই থেকেই সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। তিনি লেখকদের বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বই মেলায় লেখক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভূমিকা পর্যালোচনা করতে গেলে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান স্মরণ করতে হবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দীর্ঘদিন এ দেশের ইতিহাসবিদরা ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওই অমূল্য অবদানকে সচেতনভাবে আড়াল করে রেখেছিল।

তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কয়েক যুগ ইতিহাস বইগুলোয় ভাষা আন্দোলনের আলোচনায় কোথাও বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করেনি।

যদিও ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট ইতিহাসের উৎস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন সংগঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন।

তিনি বলেন,১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সরকার সরকারি অফিসে বাংলা ভাষা প্রচলনের আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর সরকারের মতোই ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে জোরালো ভূমিকা পালন করেন।

বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান, আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশ, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর