বিএম ডিপোর পর নয় মাসের মাথায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে হতাহত কমিয়ে আনতে শতভাগ সেফটি প্ল্যান অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো.আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
তিনি বলেন, অর্থনৈতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে উচ্চ আয়ের দেশে নিয়ে যেতে বর্তমান শিল্পবান্ধব সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্পনগরী সীতাকুণ্ড উপজেলায় ইতোমধ্যে সংঘটিত বেশ কয়েকটি বড় বড় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন থেকে আমরা আর কোনো দুর্ঘটনা দেখতে চাই না। ফায়ার সেফটি প্ল্যানসহ শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিল্পায়ন গড়তে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রামে সার্কিট হাউজে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ঝুঁকি নিরসন ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে অংশীজনদের আয়োজিত কর্মশালায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জিপিএইচ ইস্পাতের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো.আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সীতাকুণ্ডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন নিয়ে আমরা কর্মসহায়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিল্পকারখানা গড়তে হলে সবার আগে শ্রমিক, মালিক ও উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। আইন না মেনে ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে শিল্পকারখানা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকেই সবাইকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। শিল্পকারখানাগুলোতে নিরাপত্তা নজরদারী বাড়াতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল খুঁটি শ্রমিক। সেই শ্রমিকের নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের মূলধনের নিরাপত্তা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। সীতাকুন্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইসহ বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সে এলাকাগুলো নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের এএমডি আলমাস শিমুল, অ্যাডভাইজার কর্ণেল (অব.) শওকত ওসমান ও মিডিয়া অ্যাভাইজার অভীক ওসমান প্রমুভ।
কর্মশালায় আবুল খায়ের অক্সিজেন লিমিটেড, কেএসআরএম লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, মাস্টার স্টিল অ্যান্ড অক্সিজেন, সুবেদার অক্সিজেনসহ বিভিন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক-শ্রমিক, উদ্যোক্তা, পরিচালক ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড এর অক্সিজেন প্লান্ট পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয়।
আরকে/