চট্টলা ডেস্কঃ কোনো আবাসিক এলাকা ও কৃষি জমিতে নতুন করে কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান হবেনা বলে ঘোষণা করেছেন নবাগত চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশে বেসরকারী খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, সহায়তা প্রদান ও পরিবেশ উন্নয়নে সরকার মিরসরাইসহ বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোন গড়ে তুলেছে। ফলে একদিকে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অন্যদিকে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে। তবে কোনো আবাসিক এলাকা ও কৃষি জমিতে নতুন করে কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান হবেনা’।
তিনি আরোও বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করতে চাইলে নতুন ও তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে সম্ভাবনাময় এলাকা চিহ্নিত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। তবে পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন জায়গায় বিনিয়োগ থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। বিনিয়োগে আকৃষ্ট উদ্যোক্তারা সহজেই পরিবেশ সনদ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ, স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি, প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য সরকারী সেবাগুলো পাবে’।
এছাড়া সভায় বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন বিগত ৫ম সভার আলোচনা, সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ সাইফুর রহমান, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নূর রাশেদ, বিডা’র উপ-পরিচালক ফাতিমা সুলতানা, সংবাদ সংস্থা এনএনবি’র চট্টগ্রাম প্রধান রনজিত কুমার শীল, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী, আমদানি ও রপ্তানী নিয়ন্ত্রক দপ্তরের নির্বাহী অফিসার সৌরভ হাসান প্রমূখ।
সিশা/চখ