chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিকে সিলেটের পরাজয়

খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করে বসলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তবে এটি বিপিএলের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ইনিংসের ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা-চার হজম করলেও তৃতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে নাসুমের হাতে ধরা পড়েন বিজয়। পরের বলে মোসাদ্দেক ক্যাচ দেন আফিফের হাতে আর রবি বোপারা আউট হন এলবিডব্লিউ হয়ে।

এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলের অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক আছে আলিস আল ইসলামের। আল আমীন করেন ২০১৫ সালে। বিদেশি তিন জনের মধ্যে মোহাম্মদ সামি ২০১২ সালে, ওয়াহাব রিয়াজ ও আন্দ্রে রাসেল করেন ২০১৯ সালে হ্যাটট্রিক।

শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটিং করতে নেমে তাণ্ডব চালালেন উইল জ্যাকস, বেনি হাওয়েলরা। তাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স চড়লো রান পাহাড়ে।

উইল জ্যাকসের রেকর্ড গড়া হাফ সেঞ্চুরি এবং আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমান ও বেনি হাওয়েলের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিক দলটি।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট সানরাইজার্সও চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজালো। কলিন ইনগ্রাম হাফ সেঞ্চুরি করে থামলেও এনামুল হক বিজয় মারকাটারি ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেন।

যদিও ১৮তম ওভারে চোখের পলকে সব পাল্টে দিলেন মৃতুঞ্জয় চৌধুরী। বিপিএলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করে বসলেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি এই পেসার।

একে একে বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রবি বোপারাকে ফিরিয়ে দিলেন মৃত্যুঞ্জয়। আশা জাগিয়েও পারলো না সিলেট। রান বন্যার ম্যাচে ১৮৬ রানে থেমে যাওয়া সিলেটকে ১৬ রানে হারালো চট্টগ্রাম। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর