chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সিলেটের হার-প্লে অফে কুমিল্লা

খেলাধুলা ডেস্ক : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট সানরাইজার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ই জয়ে বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত হলো কুমিল্লার। ৮ ম্যাচ খেলে দলটির পয়েন্ট ১১।

বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

ব্যাটিংয়ে নেমে কলিন ইনগ্রামের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে ১২.২ ওভারে ১০৫ রান তুলেন এনামুল হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রাম।

এনামুল ৩৩ বলে ৪টি চার ৩টি চারে ৪৬ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। চারটি চারের পাশাপাশি তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন বিজয়। এনামুল ফেরার পর অপরপ্রান্তে অন্য কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।

তবে একপ্রান্তে ইনগ্রাম খেলে গেছেন শেষ ওভার অবদি। মোস্তাফিজুর রহমানকে পর পর দুই বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফিরেছন ক্যাচ হয়ে। ফেরার আগে ৮৯ রান করতে ৬৩ বল খেলে ৯টি চার ৩টি ছক্কা মেরেছেন ইনগ্রাম।

তিনে নামা লেন্ডল সিমন্স করেন ১৩ বলে ১৬ রান। অধিনায়ক রবি বোপারা ২ বলে ১ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সুনিল নারিন ও তানভির ইসলাম।

সিলেটের দেওয়া ১৭০ রানের টার্গেটে কুমিল্লা পৌঁছে ১ বল হাতে রেখে। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন লিটন দাস (৭)। পরের ওভারে ডু-প্লেসিও (২) ফিরলে বিপদ বাড়ে কুমিল্লার। তবে তরুণ মাহমুদুল হাসান জয় একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন।

চতুর্থ উইকেটে মঈন আলীর সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে অনেকটা টেনে তোলেন জয়। মঈন ৩৫ বলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৪৬ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

এরপর ইমরুল কায়েস ক্রিজে এসেই পাল্টা আক্রমণ করেন। তবে কুমিল্লা অধিনায়কের ইনিংস বড় হয়নি। ৮ বলে ২ ছয়ে ১৬ রান করে ফেরেন।

খানিক বাদে পর পর দুই বলে ফেরেন মাহমুদুল জয় এবং আরিফুল হকও। সেখান থেকে কুমিল্লাকে বিজয় পর্যন্ত নিয়ে যেতে বড় কৃতীত্ব সুনীল নারিনের। এক বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৭৩ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা।

ম্যাচ সেরা হন মাহমুদুল হাসান জয়।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর