খেলা ডেস্ক: ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! এ আপ্তবাক্য হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে তো বটে মূল পর্বেও ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েছে টাইগাররা।
মূল পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই জোড়া ক্যাচ ছেড়ে দেন লিটন দাস। তার হাত ফসকে জীবন পান ভানুকা রাজাপাকশে ও চারিথ আসালাঙ্কা। পরে এ দুজনই হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে।
একই ভাগ্যবরণ করতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন শেখ মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও লিটন দাসরা মিলে হাতছাড়া করেন চারটি সুযোগ। সেদিন জীবন পান রস্টোন চেজ, নিকোলাস পুরান, জেসন হোল্ডাররা। এ তিনজনের ব্যাটেই জয়ের ভিত পায় ক্যারিবীয়রা।
শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, বাংলাদেশের ক্যাচিং ব্যর্থতা চলছে গত ৩-৪ বছর ধরেই। এর মধ্যে চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা ৩৩ ম্যাচে ৪৭টি ক্যাচ ছুটেছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত থেকে। সবমিলিয়ে ক্যাচ উঠেছিল ২২৯টি। যেখান থেকে ১৮২টি তালুবন্দী করলেও ছুটে যায় ৪৭টি।
এ তো গেলো চলতি বছরের হিসেব। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় প্রতি পাঁচ ক্যাচের মধ্যে একটি ছেড়ে দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সবমিলিয়ে গত চার বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যাচ ওঠে ৬৬০টি, যার মধ্যে হাতে জমা পড়ে ৫২৬টি আর ছুটে যায় বাকি ১৩৪টি।
বছরভেদে হিসেব করলে ২০১৮ সালে ৩০ ম্যাচে ৪১, ২০১৯ সালে ৩০ ম্যাচে ৪১ ও ২০২০ সালে নয় ম্যাচেই ১৩টি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। আর চলতি বছর ৩৩ ম্যাচে ছুটেছে ৪৭ ক্যাচ।
এমআই/চখ