chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নগরীতে ৪৪ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ চলমান লকডাউনের ৪র্থ দিনে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।

আজ রবিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন।

এসব অভিযানে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলাসহ নানা অপরাধে মোট ৪৪টি মামলা দায়ের করে ১৬ হাজার ৯ শ ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত নগরীর ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ মামলায় মোট ৬ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

পাহাড়তলী ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি ১ মামলায় ২ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

অন্যদিকে ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। তিনি ৮ মামলায় ৬ হাজার ৫ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান। এ সময় তিনি ৫টি মামলায় ১ হাজার ৫ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

বায়েজিদ ও খুলশী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ মামলায় ৮ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী। তিনি ২ টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

অন্যদিকে হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস ৩ টি মামলা দায়ের করে ১২শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

নগরীর চাঁন্দগাও এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি ৪ মামলায় ১ হাজার ৪শ ৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

নগরীর কোতোয়ালী ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ মামলায় মোট ১ হাজার ৯শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তাছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫ মামলায় ১ হাজার ৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অভিযান অব্যাহত রাখার তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর