chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্রামের বিচারিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে গ্রাম আদালত: ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত নামে সরকারের যে একটি আদালত আছে সে বিষয়েই গ্রামের মানুষ জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও গ্রামের জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার হতাশা আছে । গ্রামের বিচারিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর সার্কিট হাউজে গ্রাম আদালত আইন ও নারীবান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিতকরণ সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য করছিলেন।

স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের উপপরিচালক বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সাঈদ হাসান, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আজিজুল হক নিউটন ও চট্টগ্রামের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, গ্রামীণ সমাজের বিচার ব্যবস্থায় মানুষ সন্তষ্ট নয়। গ্রামের বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারিয়েছেন। গ্রাম আদালত যারা করবেন তাদের অনিহা রয়েছে। গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে জানাতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক বদিউল আলম। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের উপর মানুষের দৃশ্যমান হতে হবে। স্বল্প সময়ে, কম খরচে ন্যায় বিচার পেলেই মনে করতে হবে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত হচ্ছে সরকারের ইনোভেশন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন ও বিচারিক সেবা প্রাপ্তির অন্যতম মাধ্যম গ্রাম আদালত। সমস্যার সমাধান স্থানীয় পর্যায়ে হলে বাদী-বিবাদী উভয়ের জন্য সুবিধা বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নই টেকসই উন্নয়ন নয়। বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষের বিচার পেতে বিলম্ব হয়। সে ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আইনজীবী ছাড়া শালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে গ্রাম আদালত। এসময় তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রাম আদালতের বিচারিক ব্যবস্থা মনিটরিং করারও নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায় প্রকল্প) অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের তথ্যচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ডিষ্ট্রিক ফেসিলেটেটর ( জেলা সমন্বয়কারী) উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলার ৫ টি উপজেলায় ৪৬ টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের আওতায় সাধারণ জনগণ সেবা পাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। সারা বাংলাদেশে ৮ বিভাগে ২৭ টি জেলায় ১২৮ উপজেলায় ১ হাজার ৮০ টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাদের মামলা নিষ্পত্তির হার ৯৭ শতাংশ।

এসএএস/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর