chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পেঁয়াজ উৎপাদকদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা চালু

ডেস্ক নিউজ : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের বাংলাদেশ ব্যাংক ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ প্রণোদনা দেবে। পেঁয়াজ উৎপাদকদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধা চালু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বাবলম্বী হতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে সরকার। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দুই বছরের মধ্যেই পেঁয়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা হবে। এই লক্ষ্যে ‘পেঁয়াজ ঋণ’ নামে একটি কর্মসূচিও চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কর্মসূচিতে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক থেকে পেঁয়াজ চাষিদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে কৃষি, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় এই প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে।

পেঁয়াজের উৎপাদন মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে রয়েছে বীজের সরবরাহ ও চাষের জমির পরিমাণ বাড়ানো, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঠিকভাবে বাজারজাতসহ মনিটরিং করা, গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ উৎপাদন এবং পেঁয়াজ উৎপাদনে সমৃদ্ধ ৪ জেলাকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা। পাশাপাশি রয়েছে বীজ, সার, কীটনাশক কেনায় কৃষকদের বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া।

এই বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী পেঁয়াজ মৌসুম থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।’

তিনি আরো বলেন, এই পণ্য আমদানিতে বছরে ব্যয় হয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অথচ আমদানি ব্যয়ের অর্ধেক অর্থাৎ ১ হাজার কোটি টাকা উৎপাদনে ব্যয় করলেই পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য, কৃষি ও অর্থ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। পেঁয়াজের উৎপাদন, ঘাটতি ও বাজারজাতকরণের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করে আগামী মৌসুম থেকে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন। চলতি বছর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে উৎপাদন থেকে গড়ে ২৪-২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। ফলে দেশে মোট পেঁয়াজ থাকে ১৮ লাখ টন। বাকি চাহিদা পূরণ করতে ১০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়। দেশের চাহিদার পুরোটা পূরণ করতে হলে অন্তত প্রায় ৩৬ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে হবে।

‘মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’প্রকল্পের পরিচালক ড. শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো পেঁয়াজের বীজের সরবরাহ বাড়ানো, উৎপাদনে ভূমির ব্যবহার বাড়ানো ও সংরক্ষণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রুম্মান আরা বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের ৬টি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এর ৩টি জাত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের।

এগুলোর মধ্যে বারি ৫ এর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বারি-৫ মার্চ মাসে রোপণ করে জুলাই মাসে এবং আগস্ট মাসে রোপণ করে ডিসেম্বর মাসে ফসল পাওয়া যায়। এর ফলে সারাবছরই দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও জোগান অব্যাহত থাকবে।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর