তীব্র তাপদাহে চিকিৎসকদের পরামর্শ
সারাদেশে বয়ে চলা তীব্র তাপদাহের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাছাড়া তাপদাহের কারণে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি তো আর থেমে থাকবে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তীব্র তাপদাহে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। তীব্র তাপে যেসব অসুখ দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকরা বলছেন, এমন তীব্র গরমে মানুষের সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই গরমেও নিরাপদ ও ভালো থাকা যায়। যেমন- এ সময় বাইরে বের হলে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রচুর পানি, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, স্যালাইন ও তরল খাবার খেতে হবে। এই সময়ে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক বেশি লবণ বের হয়ে যায়। এতে অবসাদ, ক্লান্তি ও মাথা ঘোরার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
তেল-মশলাজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত আমিষ খাবার এই সময়ে কম খাওয়াই ভাল। এই সময়ে খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকতে হবে। খেতে হবে এমন সব খাবার, যা সহজে হজম হয় ও যাতে পানির পরিমাণ বেশি রয়েছে। একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে অল্প মাত্রায় বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাস্তায় গরম থেকে বাঁচতে শরবত আইসক্রিম এগুলো খাওয়া যাবে না। অনিরাপদ পানি পান থেকেও বিরত থাকতে হবে।
তীব্র তাপদাহে সাবধানতা অবলম্বন না করলে, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। মনে রাখতে হবে, এই অতিরিক্ত গরমের সময় পানিবাহিত রোগ যেমন- জন্ডিস, টাইফয়েড জাতীয় রোগগুলোর প্রাদুরভাব বেড়ে যায়। তাই এই সময় খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে খুব সচেতন হতে হবে। বাইরের দোকানের খোলা খাবার যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে অবশ্যই নিরাপদ খাবার পানি নিতে হবে।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, যারা হৃদরোগ, লিভার, কিডনি ও স্ট্রোকের রোগী তারা নেহায়েতই খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না।
এই সময় বের হলে ঢিলে ঢালা কাপড় পড়ুন। শরীরের কোনো অংশে সরাসরি রোদ লাগাবেন না। হালকা সুতির পোশাক পরুন, যাতে ঘাম হলে তাড়াতা়ড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল পরুন। ব্যাগে সানগ্লাস, স্কার্ফ, পানির বোতল, ছাতা রাখতে ভুলবেন না যেন!
আর যারা বাসায় থাকছেন, যতটা সম্ভব রুম যেন ঠাণ্ডা থাকে। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা এসি বা ফ্যান ব্যবহার করবেন। ঘরে যেন পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করে, সে জন্য দরজা জানালা খোলা রাখাই ভালো। এসব বিষয় মেনে চললেই হবে।
তাসু / চখ