chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা এমভি আবদুল্লাহর

সোমালি জলদস্যুর হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বুধবার (১ মে) মধ্যরাতেই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমুদ্রসীমা ত্যাগ করে বলে জানাগেছে।জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এরআগে জাহাজটি আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দর সীমানায় অবস্থান করে। তবে বুধবার মধ্যরাতেই ২৩ নাবিক নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে নোঙর তুলে জাহাজটি। ইতোমধ্যে আমিরাত থেকে জাহাজে ৫৫ হাজার টন চুনা পাথর বোঝাই করা হয়েছে।

সাইদুজ্জামান জানান, রাত ১২টার দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়া জাহাজটি আগামী ১৫ মে’র মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।

তিনি জানান, জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হয়। এরপর গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে নতুন কার্গো বোঝাই করতে জাহাজটি দেশটির মিনা সাকার সমুদ্র বন্দরে যায়। সেখানে নতুন করে ৫৫ হাজার টন চুনা পাথরের কার্গো বোঝাই করা হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, আরম আমিরাত ত্যাগ করার পর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।

এর আগে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। এর পরদিন (২২ এপ্রিল) রাতে জেটিতে নোঙর ফেলে জাহাজটি। এরপর শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

এর আগে মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ছাড়া পায়। অর্থাৎ, জিম্মি করার ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পায়।

  • ফখ|চখ
এই বিভাগের আরও খবর