চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে বিশেষায়িত চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান অপ্রতুল
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বরাবরই নানা ধরনের অভিযোগ। পর্যাপ্ত বিশেষায়িত ডাক্তার এবং টেকনিশিয়ান না থাকায় বরাবরই পড়তে হয় নানা রকম সমস্যায়।
গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেডিকেল সেন্টারটি সম্পূর্ণ বন্ধ এবং নেই কোনো চিকিৎসক কিংবা সহকারী। এমন অবস্থায় মিলছে না কোনো তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সুবিধা, ঔষধ কিংবা পরামর্শ।
থিসিস সহ বিভিন্ন ব্যাক্তিগত কারণে সমাপনী বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীকেই এখনো অবস্থান করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে।
এছাড়াও ঈদের পরে দ্বিতীয় বর্ষের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা, তাই অনেকে হলে বসে নিজের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সপরিবারে অবস্থান করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায়। এদের মধ্যে যেকোনো সময় যে কারোরই প্রয়োজন হতে পারে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবার। আকস্মিক দূর্ঘটনা কিংবা হঠাৎ অসুস্থতায় উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে তা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।
এ অবস্থায় এম্বুলেন্স সেবা বিদ্যমান থাকলেও, তার জন্য নিতে হবে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অনুমতি। কিন্তু, অনুমতি নেয়ার জন্য কোনো যোগাযোগ মাধ্যম বা মোবাইল নাম্বার দেয়া নেই মেডিকেল সেন্টারের তালা দেওয়া গেটের বাইরে। এ অবস্থায় এক মহাবিড়ম্বনায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকারী সবাই।
চুয়েটের তৃতীয় বর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ফেরদৌস বলেন, দুর্ঘটনা কখনো ঘোষণা দিয়ে আসেনা, যেকোনো সময় যেকোন শিক্ষার্থীর সমস্যা হতেই পারে। এমন অবস্থায় মেডিকেল সেন্টারের বন্ধ থাকা ভুক্তভোগীর জন্য হুমকিস্বরূপ।
এ ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমকে জানানো হলে তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে সকলেই ছুটি পাচ্ছে, তাই মেডিকেলের সেন্টারের ডাক্তারদেরও ছুটি প্রাপ্য। এই মুহুর্তে আমাদের ২৪ ঘন্টা মেডিকেল সেবা দেয়ার মতো সক্ষমতা নেই। আমরা ২১ তারিখ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মধ্যরাতে শিফট বন্ধ করে দুই শিফটে সেবার ব্যবস্থা করেছি।
জরুরি অবস্থার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা রয়েছে। সেখান থেকে ফোনে প্রাথমিক সেবা নিতে পারবে। অবস্থার প্রয়োজনীয়তা বুঝে ডাক্তার তাকে এম্বুলেন্সের অনুমতি দিবেন। আর, খুব দ্রুতই আমরা চেষ্টা করবো ডাক্তারদের যোগাযোগ নম্বর গুলোকে গেটের বাইরে আনার ব্যবস্থা করতে। যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।
এছাড়া কোনো কারণে যদি কর্তব্যরত ডাক্তার ফোন ধরতে অবহেলা করে, তবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রানী আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তাসু | চখ