chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সেহরী ও ইফতারে কমেছে খাবারের পদ

রমজানে ধর্মপ্রাণ  মুসলমানদের  সেহরিতে এবং ইফতার  কমেছে  খাবারে পদের সংখ্যা ।  দ্রব্যমূল্যের ঊর্র্ধ্বগতির কারণে ব্যাচেলর মেসের সেহরী ও ইফতারেও আচ লেগেছে তাই কমেছে খাবারের  মেনু।দোকানে বাহারি নানা পদ সাজানো থাককেও খেজুর সরবত ছোলা মুড়িতে দিয়ে সারছেন ইফতার।

কয়েকজন ব্যাচেলর ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে,ভালো ভাবে ইফতার করতে জন প্রতি   ১১০ টাকা উপর গুনতে  হয়। তাই কিছু খাবার  বাদ দিতে হয়েছে। যেখানে ইফতারের দাম বেশি সেখানে ফল খাওয়া চিন্তা করা যায় না।এক পিস কলার দাম এখন  ১৫ টাকা  করে তাই ফলের আইটেম বাদ  দিতে হয়েছে।

সরেজমিন বহদ্দার হাট ও চকবাজার এলাকায় কয়েকটি ইফতারির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনি, আলু ও ডিমের চপ, পেঁয়াজু, বিভিন্ন শাকের বড়া, রোল, বিফ চপ ও জিলাপির কদর বেশি। প্রতি পিস বেগুনি, আলুর চপ, শাকের বড়া, পেয়াঁজু পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি জিলাপি ১০ টাকা ও শাহী জিলাপি ২০ টাকা, প্রতিটি শিঙাড়া ১৫ টাকা, সমুচা ১৫ টাকা, ডিম চপ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর আকবর শাহ এলাকায় একটা মেসে থাকেন পাহাড়তলী  কলেজের সম্মান ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাহেদা আফসানা  বলেন । সাত বান্ধবী মিলে থাকেন এই মেসে। গতকাল ইফতারের আয়োজন নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, সাত জনের ইফতারিতে প্রায় ৪শ থেকে ৫শ টাকা খরচ হচ্ছে। যদি একটা আপেল বা পেঁয়ারা খেতে চাইলে খরচ আরো বেড়ে যায়। সেহেরিতে একটু ভালো খাবার খেতে চাইলে মিল প্রতি প্রায় ১১০ থেকে ১৭০ টাকা খরচ হয়।

মোঃ সানি   নামে একজন বলেন, কয়েকজন বন্ধুরা মিলে বাড়াইপাড়ায় মেসে থাকি। সবাই মিলে একদিন ইফতার করবো বলেই ইফতারি কিনতে এসেছি। কিন্তু সবকিছুর দাম দেখে মনে হচ্ছে এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে। অনেক কিছু কেনার পরিকল্পনা থাকলেও অল্পকিছু কিনেই মেসে ফিরতে হবে।

লালখান বাজার এলাকায় আরেক মেসে থাকেন সোহেল। তিনি জানান, ইফতারির আয়োজন একেবারে ছোট। আলুর চপ, একটি বেগুনি, একটি পেঁয়াজু, একটি খেজুর, এক প্যাকেট মুড়ি, এক বাটি ছোলা, এক গ্লাস শরবত দিয়ে সারছেন ইফতার। আবার কখন কখনো ভাত খেয়ে ইফতার করেছি। রমজানের প্রথমদিন ৬ সদস্যের মেসে প্রতি জন থেকে ২ হাজার করে নিয়ে ১৫ দিনের সেহেরি আর ইফতার কিনেছেন।

আরেক সদস্য সাবের হোসেন জানায়, মেসের ইফতারি পর্যাপ্ত হয় না। সারাদিন রোজা রেখে সবাই একটু পেটভরে খেতে চায়। কিন্তু দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্যের কারণে ইফতারির আয়োজন ছোট করতে হয়েছে। একটা ফল রাখলে ইফতারের খরচ বেড়ে যায়। গত চারটি রমজানের ইফতারে মাত্র একদিন আপেল আর পেয়ারা ছিল। পর্যাপ্ত ক্যালরি পাওয়া যায় না।

চখ/জুইম

 

এই বিভাগের আরও খবর