chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফুটবল জাদুকর মেসির জন্মদিন আজ

তার পায়ের কারিকুরি দেখার জন্য বিশ্বের অগণিত দর্শক বসে থাকেন টিভি বা মোবাইল সেটের সামনে। কোন এক অজানা রহস্যে তিনি সবসময় মুগ্ধ করেন ফুটবল ভক্তদেরকে। এমনকি নিন্দুকেরাও মুখে কুলুপ এঁটে বসেন তার ফুটবলশৈলী দেখে।

তিনি আর কেউ নন। ফুটবল জাদুকর লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। তার জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হোর্হে মেসি ও সেলিয়া কুচেত্তিনির সংসারের তৃতীয় সন্তান তিনি।

মেসির বাল্যকাল স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত ছিল না। দৈহিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে খুব ছোট থাকতেই। সেই অস্বাভাবিকতা জয় করে গত প্রায় ২ দশক করে ফুটবল মাঠে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন সময়ের সেরা এই ফুটবলার।

মেসি ২০০০ সালে চলে আসেন বার্সেলোনায়। যুব দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাম লেখান বার্সেলোনার সিনিয়র দলে। তারপর টানা দেড় দশক ধরে পুরো ফুটবল বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। ২০১৫ সালে এই পুরস্কারটা জিতেছেন পঞ্চমবারের মতো। একের পর এক রেকর্ড গড়ে আর মাইলফলক পাড়ি দিয়ে হয়ে উঠেছেন এসময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। পাশাপাশি রেকর্ড পাঁচবার ইউরোপীয় গোল্ডেন শুও জিতেছেন।

মেসি তার পুরো পেশাদার জীবন পার করেছেন বার্সেলোনায়। যেখানে মোট ৩২টি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৯টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ৬টি কোপা দেল রে।

একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল (৪০৮), লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের (৮) রেকর্ড।

পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও সেরা। তিনি লা লিগা (১৬৩) এবং কোপা আমেরিকার (১১) ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোল সহায়তাকারীর রেকর্ডেরও মালিক।

মেসি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মেসি আর্জেনটিনাকে ২০০৫ ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে সাহায্য করেন যে টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেন।

এছাড়া তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলম্পিকে স্বর্ণপদক জয় করেন। ২০০৫ সালের আগস্টে তার আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এ অভিষেক হয়। ২০১১ সালের আগস্টে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। অধিনায়ক হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনাকে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলেন: ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, ২০১৫ কোপা আমেরিকা এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকা। তিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল অর্জন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর