১২ মাসেও সচল হয়নি ব্র্যাকি থেরাপি
পুরো চট্টগ্রামে জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের একটি মাত্র ব্র্যাকি থেরাপি মেশিন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও নেই এই মেশিনটি। গত ১২ মাস ধরে হাসপাতালে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে মেশিনটি। ব্র্যাকিথেরাপি করতে সরকারিভাবে ১৫০০ টাকা এবং বেসরকারিতে ১১-১৫ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত রোগী। তবে শীঘ্রই সচল করার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত বছরের ৬ জুন সেবা দিতে গিয়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। জার্মান প্রতিষ্ঠান বিআইবিআইজির কাছ থেকে একসঙ্গে ৩টি ব্র্যাকি থেরাপি মেশিন ক্রয় করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রত্যেকটি মেশিনের মূল্য ৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। এরমধ্যে একটি বরাদ্দ দেয়া হয় চমেক হাসপাতালকে। বাংলাদেশের এজেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘প্রযুক্তি ইন্টারন্যাশনালের’ মাধ্যমে ২০১৫ সালের শেষ দিকে মেশিন ৩টি সরবরাহ করে জার্মানির ওই প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ পাওয়া মেশিনটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি নিয়ে আসা হয় চমেক হাসপতালে। মেশিনটি সচল থাকতে সপ্তাহে দু বার সেবা দেওয়া হতো। সেবা চালু হওয়ার পর ২০১৯ সালে ৫৫ জন, ২০২০ সালে ৩৫ জন, ২০২১ সালে ১৬১ জনসহ মোট ২৫১ জনকে ব্রাকিথেরাপির সেবা দেওয়া হয়।
হাসপাতালের রেডিও থেরাপি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টলার খবরকে বলেন, ‘ এক বছরের বেশি সময় ধরে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গরীব সাধারণ রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন। তবে কিছু দিন আগে সরবরাহ প্রতিষ্ঠান থেকে লোক এসে দেখে গেছেন। একটি বেল্ট প্রয়োজন। সেটি বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। তবে বিদেশ থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি শীঘ্রই সচল হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেযডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান চট্টলার খবরকে বলেন, ‘ব্র্যাকিথেরাপি সরবারহ প্রতিষ্ঠানের সাথে কয়েক দিন আগে কথা হয়েছে। বকেয়া বিল পরিশোধ, বিদেশ থেকে পার্টস আনাসহ যেসকল বাধা ছিলো সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা শুধু বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের। শীঘ্রই তারা আসবেন।
নচ/মআ/চখ