নগরীতে সয়লাব অবৈধ গরুর বাজারে
চট্টগ্রামে এখনো জমে উঠার অপেক্ষায় কোরবানির পশুর বাজার। এরমধ্যেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে অস্থায়ী অবৈধ পশুর হাট। নগরের বিভিন্ন এলাকার গলি, সড়ক ও খালি মাঠে পশুর বাজার বসানো হচ্ছে। ক্ষোভ ও হাতাশা কাজ করছে বেপারীদের মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর কেবি আমান আলী রোডে আনোয়ার এগ্রোর ব্যানারো বসানো হয়েছে অবৈধ গরুর বাজার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু সংগ্রহ করে বিভিন্ন সাইজের গরু এখানে এনেছেন। পাশাপাশি ২০ টির মত ছাগলও রাখা আছে।
আনোয়ার এগ্রোর এক বিক্রয়কর্মী জানান, তাদের এখানে ৮০ হাজার থেকে শুরু কর করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গরু রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বড় সাইজের সব গরু নিজেদের খামারে লালন পালন করেছে। কিছু ছোটগরু এলাকার খামারি থেকে সংগ্রহ করেছে।
এর মধ্যে আছে পাথরঘাটা, কেবি আমান আলী রোড, বড় মিয়া মসজিদ এলাকা, বাকলিয়া, হালিশহর, চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ-দশটি গরু রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে হালিশহর বড়পুল এলাকায় বড় পরিসরে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু চসিকের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দেয়। পরে চসিক মেয়রের অনুমতিতে আবার বসানো হয়।
তাছাড়াও নগরের কর্ণফুলী নদীর তীরে মেরিনার্স সড়কের ও পাঁচলাইশ এলাকায় দুটি হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। চসিক সেটিও উচ্ছেদ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, অনুমোদিত হাটের বাইরে কেউ ইচ্ছামতো পশুর হাট বসাতে পারবে না।বসালে অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে।
ইতোমধ্যেই কয়েকটি হাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে খবর পেলেই ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরএস/মআ/চখ