মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
মাছ খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। মাছের সঙ্গে সঙ্গে মাছের ডিমের প্রতিও দুর্বলতা আছে অনেকেরই। বিভিন্ন মাছের মধ্যে ইলিশের ডিম খেতে সবাই পছন্দ করেন। শুধু স্বাদ নয়, মাছের ডিম পুষ্টিগুণেও সেরা। ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মাছের ডিম খেলেই বাড়ে বুদ্ধি এমনকি সুস্থ থাকে হার্ট। এতে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান। বেশ কিছু রোগ দূর করতেও মাছের ডিমের তুলনা নেই। তবে এমন অনেকে আছেন যাদের মাছের ডিম খাওয়া উচিত নয়।
এই বিষয়ে ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মাছের সব অংশই উপকারী। এমনকি এর ডিমে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো উপকারী উপাদান।তাই মাছের ডিম খেলে বিভিন্ন রোগভোগের ঝুঁকি কমে।
নিয়মিত মাছের ডিম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় –
>> এতে থাকা ডিএইচএ শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
>> এছাড়া মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
>> মাছের ডিমে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ থেকে বাঁচায়।
>> এছাড়া মাছের ডিম খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে।
>> গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে মাছের ডিম।
>> এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মাছের ডিমের কোনো জুড়ি নেই।
তাই কোনো শারীরিক অসুস্থতা না থাকলে নিয়মিত মাছের ডিম খেতে পারেন। তবে এর কিছু সমস্যাও আছে। এই বিশেষজ্ঞের মতে, মাছের ডিম খাওয়ার কারণে কিছু অসুখও পিছু নিতে পারে।
তিনি জানান, মাছের ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। তাই মাছের ডিম নিয়মিত খেলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া এতে কোলেস্টেরলও বেশি থাকে। যা শরীরে ক্ষতিকর এলডিএল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কারা খাবেন, কারা খাবেন না
কোনও অসুখ না থাকলে নির্দ্বিধায় মাছের ডিম খেতে পারেন। এতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কারও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা হৃদরোগজনিত জটিলতা থাকলে অবশ্যই এই খাবার পরিমিত আকারে খেতে হবে। তা না হলে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তারা মাসে দু’বার মাছের ডিম খেতে পারেন। আর যাদের কোনও অসুখ নেই, তারাও সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছের ডিম খাবেন না।
রান্নায় বেশি তেল নয়
সাধারণত মাছের ডিম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তেলে ভেজে রান্না করা হয়। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশি তেলে ভাজলে মাছের ডিম থেকে খুব একটা উপকার মেলে না। তাই এক্ষেত্রে কম তেলে মাছের ডিম ভাজতে হবে।
অনেক রোগীর মনেই প্রশ্ন থাকে, কোন ধরনের মাছের ডিম খাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত, কোনও নির্দিষ্ট মাছ নয়, যে কোন মাছের ডিম খেতে পারেন। এমনকী সামুদ্রিক স্যামন ও টুনার মতো মাছের ডিম থেকেও উপকার পাবেন।
তাসু/চখ