chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অর্ধেক, প্রভাব নেই দেশের বাজারে

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমিয়েছে দেশের পরিশোধন কোম্পানিগুলো। আজ থেকেই বাজারে এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

এর আগে  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা ও পাম তেলের দাম লিটারে দুই টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভোজ্যতেল মিলমালিকদের সংগঠন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে; যা আগে প্রতি লিটার যথাক্রমে ১৯৯ টাকা ও ১৭৭ টাকা ছিল। খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা দামে বিক্রি হবে।

তবে এক লিটার সয়াবিন তেলে ১০ টাকা কমানো হলেও ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম কমানো হয়েছে ৪০ টাকা। আগে প্রতি ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ৯৬০ টাকা, এখন সেটা ৯২০ টাকা করা হয়েছে। তাতে লিটারপ্রতি দাম কমছে ৮ টাকা। ভোক্তারা ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন কিনলে এক লিটারের বোতলের তুলনায় কম সুবিধা পাবেন।

এবার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানানোর দিন থেকেই বাজারে দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজারে বাড়তি দরে কেনা যে সয়াবিন আছে, তা কীভাবে বিক্রি হবে, সে ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভায় উপস্থাপন করা তথ্য বলছে, এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিনের যে দর ছিল, এখন তার তুলনায় দাম প্রায় ৪৪ শতাংশ কমেছে। আর অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কমেছে প্রায় ৪৯ শতাংশ। সেই তুলনায় দেশের বাজারে সয়াবিনের দাম কমার হার কম। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোজ্যতেলে হ্রাসকৃত ভ্যাট-সুবিধা ছিল। ভোজ্যতেল আমদানিতে সাধারণত ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভার পর বাণিজ্যসচিব বলেন, অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বিশেষ করে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের বাজারমূল্য নিয়ে। এসব পণ্যের বর্তমানে আমদানি পরিস্থিতি কেমন, দাম কেমন হওয়া উচিত—এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, যেমন ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে মূল্য হ্রাস পেয়েছে, স্থানীয় বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, গত এক বছরে স্থানীয় বাজারে আমদানি ব্যয় পরিশোধে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে আদা ও চিনি ছাড়া সব পণ্যের দামই আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর