বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ জন। এ নিয়ে সর্বমোট ৭৪ লাখ ৪৬ হাজার ২২৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী নতুন করে আরও ৫ হাজার ১৩৪ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনারাঘাতে না ফেরার দেশে বিশ্বের ৪ লাখ ১৮ হাজার ১৩৭ জন মানুষ। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন পৌনে ৩৮ লাখের বেশি মানুষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৪০১ জনে। এছাড়া প্রাণ গেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩০ জনের।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের দেশ ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৯৭ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় করোনা বাসা বেঁধেছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন মানুষের দেহে। আ প্রাণ কেড়েছে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৫৮ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় ও আক্রান্তে চারে থাকা যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ২ লাখ প্রায় সাড়ে ৯০ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে করোনার ভুক্তভোগী২ লাখ প্রায় ৮৯ হাজার ৩৬০ জন মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ হাজার ১৩৬ জনের। গত ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু শূন্য দেশটি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে আক্রান্ত ২ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে সেখানে ৮ হাজার ১০৭ জনের।
ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ করোনার শিকার। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ১১৪ জনের।
আক্রান্ত ২ লাখ ৯ হাজার ছুঁই ছুঁই লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯০৩ জনের। চিলিতে আক্রান্ত ১ লাখ প্রায় ৪৮ হাজারে বেশি, যেখানে মৃত্যু আড়াই হাজারের কাছাকাছি।
সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়েছে সৌদি আরবে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে বসবাসরত ১ লাখ সাড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষের দেহে চিহ্নিত হয়েছে করোনা। যেখানে প্রাণ গেছে ৮১৯ জনের। এর মধ্যে ২৫৪ জনই বাংলাদেশি।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ছয় হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এতে করে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে ১০১ জনসহ প্রাণহানি ২ হাজার ৩৫৬ জনে ঠেকেছে।
বাংলাদেশে গতকাল বুধবার পর্যন্ত করোনার শিকার ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ১ হাজার ১২ জন মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫ হাজার ৯শ জন।