chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দেহের ভেতর থেকে বিষাক্ত বস্তু বাইরে আনতে সক্ষম যে রোবট

কালো রঙের যেকোনো আকৃতি ধারন করতে পারে, নড়তে পারে, চলতে পারে, কোনো বস্তু দরতে পারে প্রাণির মতো দেখতে কিন্তু প্রাণি নয়। আসলে তা কী?

আরও পড়ুন

চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের গবেষক লি জ্যাং তৈরি করেন এক ধরনের রোবট। নাম দিয়েছে ‘ম্যাগনেটিক স্লাইম রোবট।’ এটি নিজেকে নিজেই পরিচর্যা করার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ এটিকে কেটে কয়েক টুকরো করা হলেও স্বয়ংক্রিয় ভাবেই স্লাইমটি তার অপর টুকরোগুলো ধরে পুনরায় অবিচ্ছিন্ন অংশে পরিণত হয়ে যাবে।

রাসায়নিক পদার্থ; পলিভিনাইল, বোরাক্স ও নিওডিমিয়াম চৌম্বক উপকরণ দিয়ে তৈরি এই ম্যাগনেটিক স্লাইম তরল ও কঠিন দুই অবস্থানেই বিরাজ করতে পারে। রোবট বলা হলেও আদতে এটি রোবট নয়। সংকোচন-প্রসারণশীল রাবারের মতো এই পদার্থটি সম্পূর্ণ চৌম্বক পদার্থের তৈরি। এখন পর্যন্ত এটিতে রোবটের সংযোগ স্থাপন করা হয়নি।

কেমন কাজ সম্পাদন করতে পারবে এই রোবট?

মূলত মানুষের দেহে প্রবেশ করে অতিসূক্ষ্ম বিষাক্ত উপাদান বের করে আনার জন্য তৈরি করা হয় এই ম্যাগনেটিক স্লাইম। উদ্দেশ্য হলো স্লাইমটি প্রথমে মানবদেহে প্রবেশ করবে এরপর যেই বিষাক্ত পদার্থ দেহের বাইরে আসতে পারছে না সেটিকে নিজের আঠালো দেহে আবদ্ধ করে দেহের বাইরে নিয়ে আসবে।

মানবদেহের অভ্যন্তরের বিষাক্ত পদার্থগুলো দেহের বাইরে ধরে নিয়ে আসা পর্যন্তই এর কাজ সীমাবদ্ধ নয়। সূক্ষ্ম তারের মতো বিভিন্ন পদার্থের সংযোগ, বিভিন্ন উপাদান ধরতে পারা ও সার্কিট মেরামতের মতো কাজ করতে পারে এই রোবোটিক স্লাইম।

মানবদেহের ভিতরে এটি কীভাবে চলাচল করবে?
রাবারের মতো সংকোচণ ও প্রসারণশীল এই স্লাইম মানবদেহের ভিতরে প্রবেশ করলে নির্দিষ্ট পথ বরাবর চলবে কী করে? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নটি জাগে। ম্যাগনেটিক এই স্লাইমের অন্যতম একটি গুণ হলো এটি নেভিগেইট অর্থাৎ নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এটি প্রায় দেড় মিলিমিটারের অতিসূক্ষ্ম প্রস্থের পথ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ মিলিমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে। তাই এটি মানবদেহে প্রবেশ করে ক্ষতিকর পদার্থ নিয়ে চলেও আসতে পারবে।

ক্ষতিকর দিক:
ম্যাগনেটিক স্লাইমের বাইরের আবরণ সিলিকনের তৈরি তাই ধারণা করা হয় এটি মানবদেহে প্রবেশ করলে কোনো ক্ষতি করবে না। তবে রোবটটি যে ধরনের চৌম্বকীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর। গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের গবেষক অধ্যাপক লি জ্যাং বলেন সিলিকনের আবরণ একটি বাড়তি স্তর যোগ করে তবে এই নিরাপত্তা নির্ভর করবে কত সময় এটি দেহের ভেতরে থাকবে এর ওপর।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর