চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে শূন্য আসনে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
নগরীর বহদ্দার বাড়ি শাঞী মসজিদে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।
প্রচারণায় নেমে নোমান আল মাহমুদ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে নৌকা প্রতীক পেয়েছি। আমি বিজয়ী হলে জনগণের কাছে এসে তাদের আশা ও আকাঙ্খার কথা শুনবো। সেই আকাঙ্খা পূরণে আমি সচেষ্ট। যদি ব্যর্থ হই, তার দায় ভার আমি নিজে গ্রহণ করবো।
নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধনী দিনে নোমানের সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এই উপ-নির্বাচনে যাতে দলীয় নেতা-কর্মীরা নিজেদের দায়বদ্ধতায় নিবেদিত হতে পারেন সেটাই আমাদের কাছে বড় কাম্য। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন, তিনি দলের তৃণমূল স্তরের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। তার বিজয় তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের বিজয়।
আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই। এই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য একটি অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদেরকে মোকাবেলা করার শক্তি আমাদের আছে। আমরা একই সাথে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য লড়াই করছি।
প্রচারণায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, জালাল উদ্দীন ইকবাল, আবু তাহের, আব্দুল আহাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, সৈয়দ আমিনুল হক, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, আব্দুল লতিফ টিপু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, জাফর আলম চৌধুরী, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের এ.এস.এম ইসলাম, হালিশহর থানা আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম কায়সার, আওয়ামী যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দিদারুল আলম দিদার, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট. মোঃ জিয়া উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
এছাড়া ১৫টি থানা এবং ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।
চখ/আর এস