সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম মহাতীর্থ বারুণী স্নান। সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলী রাণী রাসমণি ঘাটে লাখো ভক্ত এ স্নানোৎসবে অংশ নেয়।
তবে বর্তমান সরকার সমুদ্র সৈকতের এই অঞ্চলে বে টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাসমনি ঘাট এলাকাও টার্মিনাল প্রকল্পের মধ্যে অধিভুক্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন অবস্থায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন এই বারুণী স্নান অনুষ্ঠান শুধুমাত্র স্থানের অভাবে হারিয়ে যাবার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পবিত্র বারুণী স্নান অনুষ্ঠান যাতে হারিয়ে না যায়, এই স্নানোৎসবের জন্য বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী পতেঙ্গা বা কাট্টলী সমুদ্র সৈকতে একটা স্থায়ী জায়গা বরাদ্দের প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কার্যকর আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি আজ রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দক্ষিণ কাট্টলী রাণী রাসমণি ঘাটে সার্বজনীন মহাতীর্থ বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদ আয়োজিত বারুণী স্নান উৎসব ও ঋষি সমাবেশে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকত এলাকায় বন্দরের অনেক জায়গা রয়েছে। যেকোন একটি সুবিধাজনক স্থান যাতে বারুণী স্নান ঘাটের বরাদ্দ করা হয় সে ব্যাপারে আমি বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো।
অনুষ্ঠানে কৈবল্যধামের মোহান্ত মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য, সীতাকুণ্ড শংকর মঠ অধ্যক্ষ তপনানন্দ গিরি মহারাজ, স্বামী রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, মুরারী দাস অধিকারী, শ্যামল সাধু, লীলারাজ ব্রহ্মচারী, তারণ গৌরদাস অধিকারী, বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. বিজন কান্তি নাথ, সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি দাশ, সাবেক সভাপতি বাবুল দেবনাথ, ডা. ননী গোপাল দাশ, সুভাষ চন্দ্র ধর, সদানন্দ ভট্টাচার্য্য, অনিল কান্তি দাশ, উপদেষ্টা সুনীল বরণ দাশ, ডা. বাদল কান্তি নাথ, সহ সভাপতি কান্তি লাল দাশ, বাবুল কান্তি নাথ, লিটন চন্দ্র দাশ, লক্ষীপদ দাশ লক্ষণ, রাজিব ধর, সুবীর চন্দ্র দাশ, টিটু চৌধুরী মিনু রাণী দেবী, সুমন দেবনাথ,সীতানাথ ভৌমিক, বাবুল দেবনাথসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চখ/আর এস