chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে দুইদিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা শুরু

প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা ও কর্মশালার মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী জেলা সাহিত্য মেলা।  রোববার  (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন  চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে অনেকে সাহিত্য চর্চা করে থাকেন। তারা বাংলার সাহিত্যকে দিন দিন সমৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। এদেরকে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার  সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশকে  অসম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে। সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে রুপ দিতেই এই সাহিত্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে । সঠিক-শুদ্ধ সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনধারা থেকে অপ-সংস্কৃতি মুক্তি পাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক বলেন, জেলা সাহিত্য মেলা মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামের সাহিত্যের স্রোতধারার গতি আরও বেগবান হবে। এই মেলা সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতায় অবদান রাখবে। নব্য সাহিত্যিকরা নতুন নতুন সাহিত্য সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা পাবে।

আরও পড়ুন

বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত মোহাম্মদ শামসুল হক বলেন- বাংলাদেশে যে অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চা রয়েছে সাহিত্য মেলার ধারা অব্যাহত থাকলে তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। প্রধান বক্তা ও বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম লোকমান বলেন, প্রতিটি সুন্দর সৃষ্টিই ইতিহাস। সংস্কৃতি হচ্ছে জীবন চর্চা ও বিশ্বাসের জায়গা। সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে জাতি ও জাতীয়তা।  তৃণমূল পর্যায়ে যারা সাহিত্য চর্চা করেন, তারা যাতে মূল ধারায় আসতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সভ্য মানুষের জন্য সমাজ। সংগ্রামী মানুষের জন্য সমাজ। মাদকমুক্ত, জঙ্গিমুক্ত অসম্প্রদায়িক সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে সাহিত্য মেলার বিকল্প নেই।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মেলার আয়োজন করে। জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাহিত্য মেলার। এর  ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে এ মেলা ঘিরে রয়েছে নানান আনুষ্ঠিকতার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাহিত্যের বিভিন্ন ধরন, ছন্দ, বানান, কবিতা, ছড়া ও বাক্য গঠন নিয়ে রয়েছে প্রশিক্ষণ। এই আয়োজনে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, মুসলিম হাই ও নাসিরাবাদ বালক স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।  সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে  সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা শিঘ্রই সকলের মাঝে বিতরণ করা হবে। এর ফলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সকলে জানতে পারবেন। এছাড়াও চট্টগ্রামে প্রখম বারের মত  ফ্লাওয়ার ফেস্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। যা সংস্কৃতির অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

 

সাআ / আরকে/ চখ