chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ভেজাল প্রসাধনী উদ্ধার, এক জনের কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে বায়েজিদ এলাকার ‘জেবি কেয়ার বাংলাদেশ’ নামের একটি অবৈধ কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে বায়েজিদ থানার শাহ হাবিবুল্লাহ রোডের ওই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল প্রসাধনী উদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি ও মজুতের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে চার লাখ টাকা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্কও করা হয়েছে ।

অভিযানে অনুমোদনহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, সেক্সুয়াল ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ব্যথানাশক ক্রীমসহ নানা প্রকারের বিপুল পরিমাণ ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাবানে বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়াই লোগো ব্যবহার, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এ সকল পণ্য তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের অপরাধে জেবি কেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনজন শ্রমিককে তাঁদের বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেবি কেয়ার বাংলাদেশের কারখানায় অভিযান চালিয়ে পিলে চমকানোর মতো তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি আমরা। প্রতিষ্ঠানটি অনেক দিন ধরেই ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই অনুমোদনহীনভাবে ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করে আসছিল। এই সব প্রসাধনীর মলাটে নেই বিএসটিআইয়ের লোগো।

তিনি বলেন, এসব অপরাধে কারখানায় হাতেনাতে পাওয়া ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই কারাখানাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কারখানায় যেহেতু মালিককে পাওয়া যায়নি; তাই তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে। পরে জব্দ করা প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ভেজাল ও অবৈধ প্রসাধনী সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর