chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতি  হিরো আলম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কনটেন্ট ক্রিয়েটর চার বছরের ব্যবধানে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম । আগে সম্পদ বলতে তেমন কিছু না থাকলেও এখন তিনি কোটিপতি। 

তার রয়েছে  প্রাইভেটকার ,কৃষিজমি, ব্যাংকে ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র । স্ত্রীর নামে আছে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।

হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর হলফনামা।

হলফনামায় হিরো আলম বলেছেন, তিনি স্বশিক্ষিত। পেশা ব্যবসা। ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা।  ৯ শতক জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। কিনেছেন কৃষিজমিও। এখন তার কৃষিজমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার বেড়ে হয়েছে ১০ ভরি। আছে ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র।

সম্পদ বলতে কিছু ছিল না আগে হিরো আলমের। তখন ব্যাংক হিসাবে এক হাজার টাকা ছিল। ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুরোনো মোটরসাইকেল, আর ছিল ২১ শতাংশ কৃষিজমি, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

আয় বলতে ছিল কৃষিখাত থেকে আসা বার্ষিক ছয় হাজার টাকা এবং অভিনয় থেকে আসা দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা। নিজের বাড়ি ও গাড়ি ছিল না। চার বছরের ব্যবধানে হিরো আলম হয়েছেন কোটিপতি।

আয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘আমার কোনো কালো টাকা নেই। চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয় করি। স্টেজ শো করে উপার্জন করি। ইউটিউব থেকে আয় করি। নাটক, চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি। এসব আয় থেকেই সৎভাবে জীবনযাপন করছি।’

তিনি বলেন, ‘একটু একটু করে সঞ্চয় জমিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি। কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ আমার নেই। হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, সবই সৎভাবে উপার্জিত।’

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকার কথা জানিয়ে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। তবে হিরো আলম জানিয়েছেন, তিনি মনোনয়নপত্র বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

হিরো আলম প্রথম দিকে নিজ গ্রাম এরুলিয়ায় সিডি বিক্রির কাজ করতেন। পরবর্তী সময়ে ডিস ক্যাবল ব্যবসায় নামেন। ক্যাবল সংযোগের ব্যবসা চলাকালে শখের বশে সংগীত ভিডিও নির্মাণ শুরু করেন। ওই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার পর থেকে আলোচনায় চলে আসেন হিরো আলম।

 

সাআ / চখ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর