chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মানবতার দেয়ালে মানবতা নেই 

মানবতা দেয়ালে কোনো ভালো কাপড় দেখলেই এগলো নিয়ে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র

২০১৫ সালে ইরানের উত্তর-পূর্বের শহর মাশাদে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে প্রথমবারের মতো মানবতার দেয়ালের উদ্যোগ নিয়েছিলেন  এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি । স্যোশাল মিডিয়ার কল্যাণে তার সেই অভিনব উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বব্যাপী। প্রশংসা কুড়িয়েছিল বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষের।

এই উদ্যোগের মুলকথা হলো ব্যবহারের পর কাপড় চোপড় ফেলে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা। যার প্রয়োজন সে সেখান থেকে নিয়ে যাতে ব্যবহার করতে পারে।

ইরানের ওই ব্যক্তির নেওয়া উদ্যোগে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ তথা বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও নেওয়া হয়েছিলো এমন অভিনব উদ্যোগ। নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল মানবতার দেয়াল। বিশেষ করে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এসেছিল। তখন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় পৌছানোর জন্য নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত হয়েছিল মানবতার দেয়াল।

সময় গড়িয়েছে অনেকদিন। এখন আর মানবতার দেয়ালের খোঁজ কেউ রাখেনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানবতার দেয়াল এখন খালি পড়ে আছে। নেই কোনো প্রয়োজনীয় বস্ত্র সামগ্রী। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানবতা দেয়ালে কোনো ভালো কাপড় দেখলেই এগলো নিয়ে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র।

তারা জানান, নগরীতে এখন অনেক হকার্স আছে যাদের কাছে পুরাতন কাপড় দিলে বিনিময়ে তারা হাঁড়ি-পাতিল দেয়। পুরাতন কাপড় ধুয়ে বিক্রি করে একদল ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীরা বেশি করে পুরাতন কাপড় কিনে সেগুলো ধুয়ে কম দামে বিক্রি করে।

চকবাজারের কাঁচা বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মানবতার দেয়ালে মানবতার বলাই নাই। স্থানীয় বাসিন্দা রনি বলেন, একসময় এখানে কাপড়-চোপড় রাখা হতো। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা যায় এখান থেকে কাপড় নিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। তার মানুষ এখানে আর কিছু রাখে না।