chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিজে বলাৎকার করার পর সব দোষ শয়তানের ঘাড়ে!

ডেস্ক নিউজঃ’শইল্যে তো মানে না স্যার। শয়তানের ধোঁকায় পড়ছি, আমার কি করার আছে, কন!’ ১১ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে বলাৎকার চেষ্টা ও কামড়ে তার দুই স্তনে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত করার পর নিজের অপরাধকে জায়েজ করতে এমনই অদ্ভুত যুক্তি হাজির করলেন বলাৎকারকারী ষাটোর্ধ্ব জালাল! কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তার। বলাৎকারের ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন তিনি শ্রীঘরে। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিম ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রকে মোবাইল ও টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যান জালাল। সেখানে জোরপূর্বক প্যান্ট খুলে পায়ুপথে ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি তার বুকজোড়া কামড়ে রক্তাক্তও করেন তিনি। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে তার মাকে বিস্তারিত খুলে বললে তিনি (মা) বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে রাউজান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজু হবার পরপরই পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযানে নামে। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সটকে পড়েন জালালও। রাতভর বিভিন্ন পয়েন্টে চিরুনি অভিযানের পর আজ (৩১ আগস্ট) ভোর ৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নস্থ পাঁচখাইন এলাকার এক মাজার প্রাঙ্গণ থেকে পলায়নরত অবস্থায় তাকে আটক করে সহকারী পুলিশ সুপার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেল মো. আনোয়ার হোসেন শামীম ও অফিসার ইনচার্জ রাউজান থানা আব্দুল্লাহ আল হারুনসহ পুলিশের চৌকস একটি দল। আটককৃত জালাল আহম্মদ (৬০) একই জেলার লোহাগাড়া উপজেলাধীন আমিরাবাদ সুন্নিয়াপাড়া এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র।

আরও পড়ুন

গ্রেপ্তারকৃত জালাল আহম্মদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তার গ্রামের বাড়ির এলাকার (আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য মামুন উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধির ভাষ্য- ‘ জালাল একজন দুশ্চরিত্র লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এর আগে একবার তাকে এই অপরাধে গণধোলাইও দেওয়া হয়। এলাকাবাসী তার উপযুক্ত শাস্তি চায়” উল্লিখিত দুই মামলা ছাড়াও জালালের বিরুদ্ধে অতীতে শিশু বলাৎকারের আরো অভিযোগ গ্রামবাসীর কাছ থেকে তার কাছে এসেছে মর্মেও দাবি এই জনপ্রতিনিধির।

এ সংক্রান্তে সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, “নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জালালের বিরুদ্ধে একের পর এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সম্ভবত বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত একজন মানুষ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে”। অফিসার ইনচার্জ, রাউজান থানা আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আটককৃত জালাল আহম্মদকে একজন অভ্যাসগত শিশু বলাৎকারকারী হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এর আগেও ২০১৫ সালের অনুরূপ এক শিশু বলাৎকারের ঘটনায় বেশ কয়েক মাস জেল খাটেন তিনি।

ইহ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর