নিজস্ব প্রতিবেদক: শরীরের একাধিক স্থানে গুলি নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে এক বছর চার মাসের এক শিশু।
রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ী গ্রাম বড়থলির সাইজামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শিশুটি বাবা ও দাদা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে চট্টলা খবরকে জানান, শিশুটির মাথায় দুটি পিনেট পাওয়া যায়।এটি মাথার ভেতরে ঢুকেনি, চামড়ার নিচে আছে। গত এক সপ্তাহ অবস্থা একটু খারাপ ছিল,তবে এখন শংকামুক্ত।এখন চিকিৎসা দেওয়ার ফলে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারাত্মক আহত শিশুটি এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ২২ নং বেডে আছে। পাশে থেকে মা রুদিতি ত্রিপুরার যন্ত্রণা ভোলানোর চেষ্টা করছে। কিছুতেই থামাতে পারছেন না সন্তানের কান্না।
গত (২৯ জুন) রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রুদিতির স্বামী সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা ও শ্বশুর বিছাই চন্দ্র ত্রিপুরা। গুলিতে আরো মারা যান পাশের বাড়ির কিশোর ধনরাং ত্রিপুরা। হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ে গড়ে ওঠা নতুন সংগঠন ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে’ (কেএনএফ) দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুনেছি বোমপাতিরা এসে এদেরকে গুলি করেছে।
স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও দুই সন্তান নিয়ে রুদিতির ত্রিপুরার পরিবার। শাশুড়ি পূর্বতী ত্রিপুরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকায় বেঁচে যান। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।এই নৃশংসতার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জুঈম/চখ