chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

১৪ ঘণ্টা পর সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ভিড়েছে এমভি কর্ণফুলী

চট্টলা ডেস্ক: ১৪ ঘন্টা পর সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার বিএমডব্লিউ ঘাটে ভিড়েছে মাঝ সমুদ্রে আটকে যাওয়া এমভি কর্ণফুলী জাহাজটি। রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এটি ঘাটে পৌঁছায় বলে জানান সেখানকার যাত্রীরা।

বুধবার দুপুর ২টার পর জাহাজটি সেন্টমার্টিন ছাড়ে। জাহাজে ৪০০ জনের মতো যাত্রী ছিল বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

হামিদ নামে এক যাত্রী জানান, বুধবার দুপুর ২টায় জাহাজে ওঠার কিছুক্ষণ পরে কর্তৃপক্ষ জানায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জাহাজ চলবে না। পরে দীর্ঘ সময় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কিছু না জানিয়ে বসিয়ে রাখে।

যাত্রীদের দাবি, জাহাজটির ধারণ ক্ষমতা ৪০০ জনের হলেও এক হাজারের মতো যাত্রী বহন করে। সমুদ্রে আটকে থাকার সময় যাত্রীদের জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানালেও প্রকৃতপক্ষে যাত্রীদের খাবার দেওয়া হয়নি। ছিল না লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা। এটা নিয়ে অনেকেই ভয়ে ছিলেন।

জানা গেছে, ওই জাহাজের এক কর্মকর্তা ইঞ্জিন বিকল হয়ে বন্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করায় কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দেয়। প্রত্যেক পর্যটকের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এসবের কিছুই করা হয়নি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেন্টমার্টিন ফেরত যাত্রীরা।

এর আগে, জাহাজে ৪০০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে আটকে যাওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে উদ্ধারের জন্য একটি টিম পাঠানো হয়।

বিষয়টি তখন নিশ্চিত করে ট্যুর অপারেটর সদস্য কাদের আহমদ বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন জাহাজের নাবিক আমাদের বার্তা পাঠান যে তারা মাঝ সমুদ্রে আটকে গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে দেই। আমাদের ট্যুর অপারেটর থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাহাজে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বরও জাহাজটি একইভাবে মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় পর্যটকরা অভিযোগ জানালেও এর কোনো সুরহা হয়নি। ফের একদিন পর আবার একই ঘটনা ঘটল।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর