প্রধানমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন: নাছির
নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের জেমসেন হল পূজাপণ্ডপে হামলার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চসিক মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। প্রশাসনের কোনো ঘাটতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে একদল লোক জেমসন হলে পূজামণ্ডপের গেইট ভেঙে ভেতরের ঢোকার চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদে প্রতিমা বির্সজন বন্ধ করে দিয়ে মোমিন রোডে জড়ো হতে থাকে সনাতন ধর্মালম্বীরা। তারা স্লোগান দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
মুহূর্তের মধ্যে নগরের অন্যান্য পূজামণ্ডপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় প্রতিমার আনুষ্ঠিকতা। একে একে জেমসন হলের পূজামণ্ডপের সামনে আসতে শুরু করে সনাতন ধর্মালম্বীরা।
এসময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আগামীকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে ঘটনাস্থলে আসেন সিএমপি কমিশসার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। উপস্থিত ছিলেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
বিক্ষুব্ধদের মাঝে বক্তব্য দিতে গিয়ে নাছির বলেন, আপনারদের কষ্ট আমি অনুধাবন করতে পারছি। আরও কিছু সময় ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আপনারা শান্ত থাকুন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছেন। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যারা হামলা করেছেন তারা ধর্মান্ধ। প্রশাসনের কোনা অবহেলা বা ঘাটতি থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাছিরের বক্তব্যের পর পরিস্থিতি শান্ত হলেও বন্ধ ছিল প্রতিমা বির্সজন। কিছু যুবক দাবির পক্ষে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিল।
আরকে/এমআই