chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিদেশে বসে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের চাঁদাবাজি, টাকা না পেয়ে ফ্যাক্টরীতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর বায়েজিদ থানার চালিতাতলীতে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ফ্যাক্টরী পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে হাজিরপুল রফিক ডাক্তারের পুরাতন বাড়ীর সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মাইরা খাঁ মান্দার বাড়ির ইউসুফ মিস্ত্রির ছেলে মো. মোবারক হোসেন (১৯), বায়েজিদের চালিতাতলি এলাকার লস্কর আলীর বাড়ির মো. বাবুর ছেলে মো. জিসান (২০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৭ ও ১৮ জুলাই রাতে কমফোর্ট হোমটেক্স মেট্রেস এন্ড পিলো ফ্যাক্টরীর মালিক মো. তানভীরের কাছে দুর্ধষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ বিদেশ থেকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এতে তানভীর অস্বীকৃতি জানালে সাজ্জাদ ক্ষুব্ধ হয়ে দুই দিন পর ২০ জুলাই রাতে ২টার দিকে মোবারক হোসেন ও জিসানকে পাঠিয়ে তার ফ্যাক্টরী আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম চট্টলার খবরকে বলেন, ঘটনা তদন্তে আসামিদের সম্পৃক্ততা মেলেছে। কাতার থেকে বসে শিবির ক্যাডার চাঁদা চেয়েছেন। না পাওয়ায় তার নির্দেশক্রমে ফ্যাক্টরী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। ফুটেজেও আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান চট্টলার খবরকে বলেন, গ্রেফতার আসামিরা শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের হয়ে দেশে তার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করে। কেউ চাঁদা না দিলে তাকে মারধর করাসহ নানা হুমকিধামকী দিতে থাকে। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে মোবারকের নামে দুটি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য ২০০০ সালের ১২ জুলাই দিনদুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে ব্রাশফায়ারে খুন হন ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীনসহ আটজন। যা এইট মার্ডার হিসেবে আলোচিত। এই হত্যাকাণ্ডে শিবিরের চার ক্যাডারের ফাঁসির রায় দেন আদালত। এর মধ্যে সাজ্জাদও রয়েছেন। রায়ের পর বিদেশে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। সেখানে বসে তার সাগরেদদের দিয়ে দেশের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করেছে। নগর পুলিশের বিশেষ শাখা তাকে  দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বললেও তা কেবল কাগজে কলমে রয়ে গেছে।

এমএইচকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর