chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হালদায় ‘নমুনা ডিম ছেড়েছে’ মা মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে মা মাছের বিচরণের বেড়েছে। গেল কয়েক দিনে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ডিম সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা  করে আছেন সংগ্রহকারী জেলেরা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শহিদুল আলম।

তিনি বলেন, গত দু-একদিনে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করেছে। ডিম সংগ্রহকারীদের মতে মা মাছ এখনও পূর্ণাঙ্গ ডিম ছাড়েনি। গতকাল সংগ্রহ করা একটি হ্যাচারিতে হাত দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ টি নমুনা ডিম পেয়েছি। নমুনা ডিম স্বাভাবিক ছিল। নদীতে আগের চেয়ে মা মাছের আনোগোনা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। আমরা আশা করছি বজ্রপাতসহ বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে মা মাছ ডিম অধিক সংখ্যাক ডিম ছাড়বে।

এদিকে মা মাছের পেটে ডিম ভরপুর বলে জানালেন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ডিম সংগ্রহ করা আসা জেলে কামাল সওদাগর। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে হালদা নদীতে মা মাছের বিচরণ দেখা গেছে। পরিবেশে অনুকূলে রয়েছে। ডিম সংগ্রহের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলেরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সবাই বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে। এবারের পরিবেশ অন্যান্য সময়ের ভালো। ইনশাআল্লাহ অধিক বৃষ্টিপাত হলে জেলেরা ডিম সংগ্রহ করে লাভবান হবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মা মাছের ডিম (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালাবাউস) ছাড়তে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে থেকে জুন মাসের যে কোনো পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কয়েক দিন আগে পরে জোয়ার ও ভাটার সময়ে মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। রাজউান ও হাটহাজারী উপজেলার চারটি সরকারি হ্যাচারি ও শতাধিক মাটির কুয়ায় রেণু পোনা ফোটানোর জন্য নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন প্রশাসন ও সংগ্রহকারীরা।

গত বছর হালদায় ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি। ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি। এর আগের বছর এই সংখ্যা ছিল সাত হাজার কেজির।

আরকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর