chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভোজ্যতেলের কারসাজি রুখতে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিলগেট থেকে সরবরাহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারসাজির পেছনের কারণ খুঁজতে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার।

 

তিনি বলেছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের সত্ত্বেও গ্রাহক পর্যায়ে ভোজ্যতেলের বাড়তি দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে বাজারে অভিযানে পরিচালনা করবে।

 

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যে ও বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তিনি অসুস্থতার কারণে অংশ নিতে পারেনি। অনুষ্ঠানে তাঁর একান্ত সচিব মাসুকুর রহমান সিকদার বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

 

বিপণকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানো বিষয়ে উপসচিব বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রমজানকে সামনে রেখে সরকার লিটারে তেলের দাম ১৬৮ নির্ধারণ করে। আমদানির বিবেচনায় এনে বিপণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ানোর কথা দাবি করেছেন। কিন্তু এর আগে বাজারে ভোজ্যতেলের বাজার কারা অস্থিতিশীল করলো? তারা কী ১৫০ টাকায় কিনে ১৮০ টাকা বিক্রি করছে, কিংবা ১৮০ টাকায় কিনে ১৮৫ টাকায় বিক্রি করছে এসব তথ্য আমরা কোথায় পাব? আমরা খুচরা বাজারে গেলাম, সেখানে বলা হলো পাইকারী থেকে সরবরাহ আসছে না। পাইকারী ও পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বললাম। সর্বশেষ আমরা বড় বড় রিফাইনারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিলাম। মিল গেট থেকে পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এসব বিষয়গুলো সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।

 

মাসুকুর রহমান আরও বলেন, গত দু বছরে করোনা ভাইরাসের প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশ্বে ভোজ্যেতেল, চিনি ও ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে এসেছে। উৎপাদন কমে আসলেও, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা ও সরবরাহের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এরপরও সরকারে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

মতবিনিময় সভায় দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম সভাপতিত্ব করেন। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু রায়হান দোলন, সিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল ওয়ারিশ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আমদানিকারক, বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

আরকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর