পিপিই সংকট, জার্মান চিকিৎসকদের ‘নগ্ন সংশয়’ প্রতিবাদ
পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নেই। তবুও চিকিৎসা করতে হচ্ছে করোনাআক্রান্ত রোগীদের। পেশাগত ও মানবিক এই দায়িত্ব এড়ানো যায় না, তবু প্রাণের মায়া কার না আছে! পিপিই-র জন্য বারবার দাবি তোলার পরও তা পূরণ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিনব প্রতিবাদে নেমেছেন জার্মানির চিকিৎসরা।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় জামাকাপড় ও জিনিসপত্রের অভাবের জন্য চিকিৎসরা নগ্ন হয়ে বার্লিনে বিক্ষোভ দেখালেন।
করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসায় তারা নিজেদের অরক্ষিত বোধ করছেন বলে জানিয়ে এই প্রতিবাদের নাম দিয়েছেন ‘নগ্ন সংশয়’। প্রতিবাদী চিকিৎসকদের নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকা রুবেন বারনাউ জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি জিনিসপত্র তাদের দেওয়া হচ্ছে না। তার কথায়, ‘সুরক্ষা ছাড়া আমরা কতটা এই রোগের দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ, তা বোঝাতেই নগ্ন হওয়া।’
চিকিৎসার সময় ডাক্তাররা নগ্ন হয়ে কেউ ফাইলে পেছনে, কেউ টয়লেট রোলের পেছনে, মেডিকেল জিনিসপত্র বা প্রেসক্রিপশনের পেছনে নিজেদের ঢেকে রেখেছেন। এক ডাক্তার জানা হুসেমান জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই আমরা রোগীদের চিকিৎসা করতে চাই। কিন্তু আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।’
গত জানুয়ারিতে করোনা হানা দেওয়ার পর থেকে বারবার আরও পিপিই-র দাবি জানিয়ে আসছেন জার্মান ডাক্তাররা। জার্মান ফার্মগুলো যে পিপিই সরবরাহ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম। মাস্ক, গগলস, গ্লাভস ও অ্যাপ্রনের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেক জায়গায় আবার পিপিই চুরি যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ জন্য হাসপাতালগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোও হয়েছে।