chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হাজী সেলিমের কারাদণ্ড বহাল

আইন-আদালত ডেস্ক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গত ৯ মার্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় প্রদানকারী বিচারকদের স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে রায়টি আজ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে কেবল গণমাধ্যমের সংবাদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে; যা দুর্ভাগ্যজনক।

দুদককে সাংবিধানিক পদসহ সব পর্যায়ে দুর্নীতি নির্মূলে আরো সচেষ্ট হতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাজী সেলিমের যেসব সম্পত্তি নিয়ে জটিলতা চলছে, তার সবই রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুই বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষর করেছেন। রায়টি আমি এখনও হাতে পাইনি। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে উনার রায় ঘোষণা করা হয়েছে সেদিন থেকেই উনি সংসদ সদস্য পদে নেই।

এখন তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন কিনা এ প্রসঙ্গে দুদক আইনজীবী বলেন, বিচারিক আদালত যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তাকে জেলে যেতে হবে। তারপর আপীল করতে পারবেন।

আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো: খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান মনির।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন।

পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে দুদক। ওই আপীলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপীল বিভাগ।

২০২০ সালের ১১ নবেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপীল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর