chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ মিলল মির্জাখালে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর চশমা খালে নিখোঁজের চারদিন পরে অবশেষে পাওয়া গেল পথশিশু কামালের (১২) মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে মির্জাখাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা ১২টার দিকে মির্জাখালের পাশের এক বিল্ডিংয়ের দানু মিয়া নামে একজন কেয়ারটেকার লাশটি দেখতে পান। পরে তিনি নিশ্চিত হতে ওয়াসকুরুনি নামে ব্যাক্তিকে দেখালে তিনিই পুলিশে খবর দেন।

সিএমপির পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচলাইশ থানাধীন মির্জাখালে লাশটি ভাসছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যায়। পরে লাশটি উদ্ধার করে শিশুটির বাবা ও বন্ধু রাকিবকে দেখানো হয়। তারা উদ্ধার করা লাশটি কামালের বলে নিশ্চিত হয়েছেন। এরপর লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের পরনে ছিল একটি ত্রি-কোয়ার্টার পেন্ট ও গায়ে গেঞ্জি ছিল। লাশটি তিন-চারদিন পানিতে থাকার কারণে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই প্রথমে পরিচয় শনাক্তে সময় লেগেছে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর রবিউল আজম জানান,উদ্ধার লাশটি শিশু কামালের। চশমা খাল থেকে মির্জা খালে এসে তল্লাশি চালানোর আগ মূহুর্তে স্থানীয়রা লাশ দেখে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা গিয়ে বিকৃত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করি।

গত সোমবার বিকাল ৪টায় নগরীর ষোলশহর ভূমি অফিসের সামনে চশমা খালে বোতল কুড়াতে গিয়ে তলিয়ে যায় কামাল। বৃহস্পতিবার নিখোঁজের চতুর্থ দিন সকাল থেকে মির্জা খালে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বেলা ১২টায় মির্জা খালে লাশ পাওয়া গেছে।

এই নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে গত পাঁচ মাসে খাল ও নালায় পড়ে মোট পাঁচ জনের ‍মৃত্যু হলো। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নগরের শেখ মুজিব রোডের নালায় তলিয়ে যায়। ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৫ আগস্ট টানা বৃষ্টিতে ষোলশহর এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেলে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ (৫০)। তার খোঁজ আজও মেলেনি।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুন একটি সিএনজিচালিত আটোরিকশা চশমা হিল এলাকায় খালে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে চালক মোহাম্মদ সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগমের মৃত্যু হয়।

জেএইচ/চখ

..

এই বিভাগের আরও খবর