chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে নির্বাচিত চারবারের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।

এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। মরহুমের নিজ বাড়ি আনোয়ারার হাইলধর গ্রামে পারিবারিক ও দলীয়ভাবে কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। কর্মসূচীর মধ্যে আছে বৃহস্পতিবার সকালে খতমে কোরান ও দোয়া মাহফিল, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত এবং এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দিনটি যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালের ৩ মে আনোয়ারার হাইলধর গ্রামে জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংসদীয় আসন থেকে ১৯৭০, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও সর্বশেষ ২০০৮ সালে মোট চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রাণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। স্বাধীনতার পর তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তার পাথরঘাটা জুপিটার হাউস থেকে সংগ্রাম কমিটির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামে আসার পর ওই হাউস থেকেই সাইক্লোস্টাইল করে প্রচার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনবার্সন কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি বিশ্বজনমত গড়তে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে যান।

রাজনীতির পাশাপাশি বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু শিল্পোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মাটি ও মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সফল ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি দীর্ঘকাল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজের দুইবার সভাপতি ও বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৮৯ সালে ৭৭ জাতি গ্রপের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি বেসরকারী ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।

এছাড়া রয়েল ইন্ড্রাস্ট্রি, আসিফ স্টিল মিল, জাবেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যানআম বনস্পতি, আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিনথেটিক প্রোডাক্ট, আরামিট গ্রুপ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার পুত্র সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমানে সরকারের ভূমিমন্ত্রী ও আনোয়ারা-কর্ণফুলীর সংসদ সদস্য। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন এই নেতা।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর