chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এক মাসের মাথায় পিতা পুত্রের খুনের রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মাথায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চাঞ্চল্যকর পিতা ও পুত্রের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (২০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয় তুলে ধরা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, মো. ফিরোজ, মো. সালাহ উদ্দিন ও মো. এখলাছ। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২ টি ধারালো দা।

পিবিআই জানায়, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফটিকছড়ির হলুদ্যা খোলা এলাকায় খামার বাড়ি থেকে সিগারেট কিনতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফকির আহাম্মদ (৩৩)। পরের দিন খালের পাশ থেকে ওই যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ফকিরের পিতা এজাহার মিয়া (৭০) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর কেটে যায় দীর্ঘ আট মাস। কিন্তু মামলার কোন সুরাহা হয়নি।

অপরদিকে চলতি বছরের ২৪ জুন এজাহার মিয়া ও তার ছেলে ইসমাইল হোসেন উপজেলার কাঞ্চননগর ছমুরহাট বাজারের পতিত জমিতে কাজ করছিল। ওই দিন বিকেলে ইসমাইল গরু নিয়ে বাসায় চলে আসে। জমির বীজতলা কাজ শেষে এজাহার মিয়ার বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাতেও বাসা না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা আশেপাশে খোঁজ করে।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাঁশঝাড়ের নিচে এজাহার মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ওই ঘটনায় বাদি হয়ে মামলা করে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নাছিমা বেগম। গেল ২৮ সেপ্টম্বর তদন্তের ভার পড়ে পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক মো. কামাল আব্বাসের ওপর। তিনি গুপ্তচর নিয়োগ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে ফকির আহমদে ও এজাহার মিয়া হত্যাকাণ্ড একই কারণে সংঘটিত হয় বলে উঠে আসে।

পিবিআই জানিয়েছে, ছেলে হত্যার আট মাসেও মামলার সুরাহা না হওয়ায় এজাহার মিয়া মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানার পর আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। লিজের জমি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ফকির আহম্মদক ও এজাহার মিয়াকে হত্যা করা হয় বলে আসামিরা জানায়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে পিবিআই।

আরকে/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর