chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

স্ক্র্যাপের দাম বাড়ায় রাজস্ব বেড়েছে রেলওয়েতে

রেলওয়ের স্ক্যাপ বিক্রির দরপত্রের স্বচ্ছতা বাড়ায়, বেড়েছে প্রতিযোগিতা ও রেলওয়ের আয়। আগে শুধুমাত্র সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে দরপত্র দলিল বিক্রি ও দাখিলে সুযোগ ছিল। এতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভয়ে দরপত্র দলিল ক্রয় ও দাখিল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বর্তমানে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ৬টি স্থানে দরপত্র দলিল বিক্রি করা হয়। সেখানে একযোগে দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। ফলে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিনা প্রতিযোগিতায় স্ক্র্যাপ বিক্রি চুক্তি লাভের সুযোগ রহিত হয়েছে। আর এতেই স্ক্র্যাপ মালামালের মুল্য পুর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

চলতি অর্থ বছরে সবচেয়ে বড় বিক্রির দরপত্র ছিল ৮ আইটেমের ১৪০৯ দশমিক ০১৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ মালামাল বিক্রয় (দরপত্র প্যাকেজ নং সেল/২২/২০২৩)। এই দরপত্রেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তথ্যনুন্ধানে দেখা যায় দরপত্রটিতে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহবান করা হয় এবং নোটিশটি ৩টি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই দরপত্রেও ঢাকাতে ১টি, রাজশাহীতে ১টি এবং চট্টগ্রামের ১টিসহ মোট ৬টি স্থানে দরপত্র দলিল ক্রয় ও দরপত্র দাখিলের সুযোগ ছিল। দরপত্র নির্ধারিত সময়ে দরপত্রদাতাগণের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্র উন্মুক্তকরণের পর মূল্যায়নের জন্য দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়ক তথা অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) এর সভাপতিত্বে রেলভবনের ৪১১ নং কক্ষে দরপত্র মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সুত্র জানায় একাধিক স্থানে দরপত্র দলিল ক্রয় ও জমা দেয়ার সুযোগ রাখায় টেন্ডার কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ফলে টনপ্রতি ৫৫ হাজার ৮৬১ ও ৫৫ হাজার ৮৫১ টাকা ৩০ পয়সা দরে ১৪০৯.০১৫ মেট্রিক টন স্ক্র্যাপ এর দাম ৭ কোটি ৮৭ লাখ ৮ হাজার ৫৮৬ টাকা দর দিয়ে এস এ কর্পোরেশন সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। একই পরিমাণ স্ক্র্যাপের ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ২৭০ দশমিক ৭২৫ টাকা দর দিয়ে সজীব এটারপ্রাইজ ২য় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। রেলের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) এই টেন্ডার অনুমোদন করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবার পুর্বের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও টেন্ডার কমিটির সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দরপত্র আহবান হতে শুরু করে, দাখিল ও উন্মুক্তকরণ, মুল্যায়ন ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদনসহ চুক্তি স্থাপনসংক্রান্ত প্রত্যেকটি ধাপ নিয়মানুযায়ী শতভাগ সঠিকভাবে সম্পাদন করা হয়েছে। ১ম সর্বোচ্চ দরদাতার দরপত্রটি কারিগরকীভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় ২য় সর্বোচ্চ দরদাতার (সজীব এটারপ্রাইজের) উদ্ধৃত দরে চুক্তি করা যায় না। ফলে সজীব এটারপ্রাইজ যদি কোন অভিযোগ করে সেটি শতভাগ ভিত্তিহীন ও আবেগপ্রসূত।

এ বিষয়ে টেন্ডারের সর্বোচ্চ দরদাতা এস এ কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর মো. শাহ আলম বলেন, আমি সমস্ত নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ ক্রয়ের টেন্ডারে অংশ নিয়েছি। বর্তমান বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দর সাবমিট করেছি ফলে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছি।

  • ফখ|চখ
এই বিভাগের আরও খবর