chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইদের পর পুরোদমে চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল

অবশেষে ইদের পর চট্টগ্রামে চালু হতে যাচ্ছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। যেখানে একসাথে ভেড়ানো যাবে ১০ মিটার ড্রাফটের ৪টি জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে বছর দেড়েক আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এই টার্মিনালের।

কিন্তু অপারেটর নিয়োগ জটিলতায় এতদিন চালু করা যায়নি। সম্প্রতি পিসিটি পরিচালনায় সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সাথে ২২ বছরের চুক্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাতে জট খুলে। সব ঠিক থাকলে এপ্রিল থেকে পুরোদমে চালুর লক্ষ্য তাদের।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল জানান, বন্দরভিত্তিক বিশ্বের বড় বড় যেসব লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। সৌদির রেড সি গেটওয়ের সাথে চুক্তি হওয়ায় পিসিটি আগামী এপ্রিলে চালু করা যাবে বলে আশা করছি।

বহির্নোঙরে আসা মাদার ভ্যাসেলকে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে পৌঁছতে অতিক্রম করতে হয় ১২ নটিক্যাল মাইল। কিন্তু পিসিটি পর্যন্ত পথ ৬ নটিক্যাল মাইল, অর্থাৎ অর্ধেক কমবে। তাতে জাহাজ থেকে দ্রুত পণ্য খালাস হবে বলে আশা বন্দর ব্যবহারকারীদের।

শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, যখন ৯.৫ বা ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ঢুকবে, তখন আউটারে চাপ কমবে। তাতে খরচ কমবে, ফলে পণ্যের দামেও প্রভাব পড়বে।

বছরে ৫ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসম্পন্ন এই টার্মিনালে শুরুতে ভিড়বে শুধু গিয়ার জাহাজ। ব্যবহৃত হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। এটি দ্রুত চালুর তাগিদ ব্যবসায়ীদের।

ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, যেখানে অর্থ কম ব্যয় হবে এবং সময় লাগবে সেই সুবিধাই তো লুফে নেবে ব্যবসায়ীরা।

গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার থেকে আসা জাহাজ থেকে চাল খালাসের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় পিসিটি। ২৬ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ভিড়ে ২০০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ। এক হাজার ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই কন্টেইনার।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর