chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ডেঙ্গুতে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ আরও বেশি প্রাণঘাতী

প্রথমবারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা প্রথমবারের চেয়ে আরো বেশি গুরুতর হতে পারে। প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার পর দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকায় দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর ফলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে চলে যায়।

ভ্যাকসিনসওয়ার্কের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ (ডিইএনভি১ থেকে ডিইএনভি৪) বা ধরন রয়েছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা এসব ধরনের সঙ্গে লড়াই করে। প্রথম আক্রমণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় দ্বিতীয় আক্রমণটি শক্তিশালী হয় এবং সেরোটাইপগুলো আগের ভাইরাস কণার সঙ্গে যুক্ত হয়। এভাবে শরীরে ডেঙ্গু আবারও বাসা বাঁধতে পারে। সে ক্ষেত্রে শরীরে বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতার দরকার হয়।

মানবদেহ প্রথমে ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি সেরোটাইপ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এটির বিরুদ্ধে দেহে আজীবন অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও পরবর্তী তিনটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির সক্ষমতা দুই মাসের কম হতে পারে। এ জন্য দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে ‘সাইকোটিন’ নামক এক প্রকার প্রতিরোধক শরীরের জীবাণু প্রতিরোধী কোষকে সংকেত পাঠায়। এতে দেহে ‘সাইকোটিন স্টর্ম’ তৈরি হয়। দুর্বল শরীরে এই প্রক্রিয়া বিপরীতমুখী কাজ করায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও দেহে একই প্রক্রিয়া ঘটে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে দেশ দুটিতে আগের তুলনায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় হাসপাতালের কভিড-১৯ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রূপান্তর করার প্রয়োজন হয়।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর