chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটে সিএনজি স্টেশনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

দুইদিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। তবে ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের চাপ আগের চেয়ে বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সংকট কাটেনি। এতে আজও গণপরিবহন–সংকটের কারণে চাকরিজীবীদের ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে।

আজ নগরের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, চাকরিজীবী নারী ও পুরুষেরা গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম। গ্যাসচালিত অটোরিকশা ছিল হাতে গোনা।নিরবিচ্ছিন্নভাবে

সকালে নগরের ২ নম্বর গেট মোড় ও এ কে খান এলাকায় গিয়েও চাকরিজীবীদের ভিড় দেখা যায়। গণপরিবহন–সংকটের কারণে অনেকেই আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। কেউ যানবাহন না পেয়ে বাড়তি ভাড়ায় রিকশায় উঠছিলেন। এ কে খান এলাকায় রওনক ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, তিনি সকাল আটটার দিকে জিইসি এলাকা থেকে তিনটি রিকশায় ভেঙে ভেঙে এ কে খান এলাকায় এসেছেন। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার, খরচ হয়েছে ৩১০ টাকা।

সকালে নগরের কদমতলীর ফোর স্টার সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে গ্যাস নিতে বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার লাইনে ছিল। তবে গতকাল শনিবারের তুলনায় এ লাইন আজ ছোট হয়েছে। মোহাম্মদ ফারুক নামের এক অটোরিকশাচালক প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু এখনো কয়েক ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছে। মোহাম্মদ হাবিব নামের এক চালক বলেন, তিনি সকাল ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়ে ১০টার দিকে গ্যাস পেয়েছেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প ও আবাসিক খাত মিলিয়ে চট্টগ্রামে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। একসময় সাঙ্গু এবং সেমুতাং থেকে উত্তোলিত গ্যাস দিয়ে এ চাহিদা পূরণ হতো। পরে দুটো গ্যাসক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম পুরোপুরি আমদানি করা এলএনজি গ্যাস নির্ভর নগরী।

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, ৯টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান  বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস পাওয়া গেছে। ফিলিং স্টেশনগুলোয় গ্যাসের চাপ বেড়েছে। তবে চট্টগ্রামের চাহিদা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

চখ/জুুইম

এই বিভাগের আরও খবর