chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাড়ে ৩৯ লাখ পরিবারে আসে প্রবাসী আয়, সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়-বিশ্বজুড়েই অর্থনীতিতে রেখে চলেছে বড় ভূমিকা। বাংলাদেশে বড় ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। দেশে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ১৫৫ পরিবারে আসে রেমিট্যান্স। যার মধ্যে সর্বাধিক ৪২ দশমিক ৪৩ শতাংশ খানার অবস্থান চট্টগ্রামে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন বাস্তবায়িত দেশের প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর ন্যাশনাল রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউসার আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএস জানায়, খানার গড় আকার ২০২২ সালে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশে। যা ১৯৭৪ সালে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ৪ সদস্য বিশিষ্ট খানা রয়েছে সর্বাধিক ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৩টি, যা মোট খানার ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

দেশের অধিকাংশ খানা (৮৬ দশমিক ৫১ শতাংশ) খাবার পানির উৎস হিসেবে গভীর অগভীর টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে। এছাড়া ১১ দশমিক ১৪ শতাংশের খাবার পানির উৎস ট্যাপ/পাইপ (সাপ্লাই)। জাতীয় পর্যায়ে ৫৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ খানা টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করে/পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করে। স্ল্যাবসহ পিট ল্যাট্রিন/ভেন্টিলেটেড ইমপ্রুভড ল্যাট্রিন/কম্পোস্টিং ল্যাট্রিন ব্যবহার করে ২১ দশমিক ৯৭ শতাংশ খানা। দেশে ৭৩ দশমিক ২৫ শতাংশ খানায় ‘একক’ টয়লেট ব্যবহার করা হয় এবং ৬৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ খানায় সাবান ও পানিসহ হাতধোয়ার পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের মোট ৯৯ দশমিক ২৪ শতাংশ খানায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে সর্বাধিক সংখ্যক অর্থাৎ ৫৯ দশমিক ৩১ শতাংশ খানা রান্নার জ্বালানি হিসেবে কাঠ/খড়ি/ লাকড়ি ব্যবহার করে। এছাড়া ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ খানার রান্নার জ্বালানির প্রধান উৎস সাপ্লাই গ্যাস, যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান্নার জ্বালানির উৎস।

 

 

 

 

তাসু/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর