chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা

কক্সবাজার জেলার টেকনাফে এসেছে মিয়ানমারের ৩২ জন প্রতিনিধি প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮ টার পর পর টেকনাফ উপজেলার জালিয়াপাড়াস্থ জেটি ঘাট দিয়ে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ এসে পৌঁছে।

তাঁদের স্বাগত জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা।

অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা জানান, ‘প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে দু’দলে বিভক্ত হয়ে ১৮০ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে আলোচনা করছেন। মূলত প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের সম্মতি আদায়ে এই আলোচনা চলছে। যার মধ্যে একটি দল নদী নিবাস রেস্ট হাউস এবং অপর দলটি গণপূর্ত বিভাগের রেস্ট হাউসে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আলোচনার জন্য আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি জানায়, ‘এই আলোচনার মধ্য দিয়ে নিজ ভিটে-মাটি ও নাগরিকত্ব দিলেই নিজ দেশে ফিরে যাব আমরা।’

দু’পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান

তিনি বলেন, ‘জল ও স্থলপথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে। যা ২০১৮ সালে দু’দেশের চুক্তিতে উল্লেখ্য রয়েছে। আমরা জল ও স্থল পথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আশা করি, দু’পক্ষের কথা-বার্তার মাধ্যমে তাদের মধ্যে যে আস্থার সংকট রয়েছে, সেটি দূর হবে এবং অচিরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে, যার জন্য আমরা প্রস্তুত।’

চলতি বছররে এর আগেও দু’বার মিয়ানমার প্রতিনিধি দল আসে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রথম বার ১৫ মার্চ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসে। এরপর দ্বিতীয়বার ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি এসেছিল ২৫ মে। এর মধ্যবর্তি ৫ মে বাংলাদেশের ৭ সদস্য রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলও মিয়ানমারের মংডুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসেন। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। কিন্তু গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার সরকার।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর