chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাউজানে কলেজছাত্র হত্যা মূল হোতাসহ গ্রেফতার ২

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় শিবলী সাদিক (১৯) নামে এক কলেজছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় উচিংথোয়াই মারমা ও তার সহযোগী ক্যাসাই অং মারমাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাউজানে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উচিংথোয়াই মারমা ভুক্তভোগী শিবলীকে জবাই করেছেন বলে জানায় সংস্থাটি।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিবলী সাদিক রাউজানের কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি এলাকার একটি মুরগির খামার দেখাশোনা করতেন। সেই খামারে কাজ করা কয়েকজনের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট শিবলী সাদিককে অপহরণ করা হয়।

এ ঘটনার দুদিন পর অপহরণকারীরা হৃদয়ের পরিবারের কাছে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কয়েক দিন পর অপহৃত শিবলীর বাবা শফি বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়ায় গিয়ে দুজনের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু তারা শিবলীকে মুক্তি দেয়নি। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে শিবলীকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুইচিংমং মারমা (২৪), অংথুইমং মারমা (২৫) ও উমংচিং মারমাকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে পরদিন (১১ সেপ্টেম্বর) উমংচিং মারমাকে নিয়ে ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। এদিন কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহৃত যুবক হৃদয়ের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সেখান থেকে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুটি মামলাই পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করে।

আসামীদের দেয়া জবানবন্দী থেকে জানা যায়, পাহাড়ে হৃদয়কে হত্যার পর লাশ প্রথমে কলাপাতা দিয়ে ডেকে দেওয়া হয়। পরে লাশটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন শনাক্ত করতে না পারে এ জন্য টুকরো করা হয় এবং শরীরের মাংস আলাদা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে উমংচিং মামরাসহ সবমিলিয়ে ৯-১০ জন অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে র্যাব দুই জন এবং রাউজান থানা পুলিশ আরও ছয় জনসহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক বলেন, ‘হৃদয়কে হত্যার পর মাংস খেয়ে ফেলেছে এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা জানে না। তবে শরীরের মাংস আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটি সত্য। তবে মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর