chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবনা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীতকরণের জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকার একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। মহাসড়কটি ৬ লাইনে উন্নীত করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব অনেকটা কমবে। একইভাবে দুর্ঘটনাও কমে আসবে।

 

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কার্যক্রম ও সেবা প্রদান এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সড়ক পরিবহন ও সড়ক বিভাগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সওজ এর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ সচিব (সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ অধিশাখা)  নীলিমা আফরোজ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) ও সড়ক ও জনপথ  অধিদফতরের কর্মকর্তারা নিজ নিজ দফতরে বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। একইভাবে সেবা কার্যক্রম নিয়ে সর্বশেষ অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মালেক।

 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, সভায় অনেকে অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রামে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নেই। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে। এখানে বাস ও ট্রাক টার্মিনাল থাকাটা জরুরি। বাস ও ট্রাক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বিআরটিএ’র সেবা সম্পর্কে বলেন, মানুষ এখন ঘরে বসে বিআরটিএ’র সেবা নিতে পারছেন। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ’র অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র একবার বায়োমেট্রিক দেয়ার জন্য গেলেই হবে।

 

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, দেশ ছিল আগে ছিল ডিজিটাল, এখন স্মার্ট হয়েছে। বিআরটিএ একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সব সেবা ডিজিটালে পরিণত হয়েছে। এখন অনিয়ম-দুর্নীতি কোন সুযোগ নেই।

 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিআরটিসি এগিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও পণ্য পরিবহন সেবায় জনগণের অন্তরে স্থান পেয়েছে বিআরটিসি। সবার অংশগ্রহণে এই প্রতিষ্ঠানকে স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।

এই বিভাগের আরও খবর