চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ২ বেসরকারি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ: নওফেল
নগরীর পতেঙ্গায় নতুন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হলে সেখানে ১২শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। যেহেতু শিক্ষানীতিতে বিদ্যালয়ের ব্যাখ্যার মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণিও রয়েছে। তাই এই দুই সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি অর্থাৎ কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টার দা সূর্য সেনের নামে হচ্ছে নগরীর নতুন দুই সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ। দশতলা বিশিষ্ট এই দুই ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে প্রকল্পে প্রায় ৩০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হলে সেখানে ১২ শ’র বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর পতেঙ্গার মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগর এলাকায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল এন্ড কলেজের নিচতলার কলামের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে দু’টি ভবনের মোট অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।
এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে উত্তর পতেঙ্গার স্টিল মিল এলাকায়। প্রায় দুই একর ভূমির উপর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগর এলাকায়।প্রায় এক একর ভূমির উপর নির্মাণাধীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার সেবা যাতে সাধারণ মানুষে দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে নানান প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সরকার যাতে সরাসরি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন। এজন্য একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, এই বিশেষ প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রামে এই দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে।
চখ/জুইম