দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই এখন বৃষ্টিহীন। বৃষ্টি হলেও তা পরিমাণে খুবই সামান্য। বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে দেশের চার জেলা ও এক বিভাগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, এরপর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগ ছিল একেবারে বৃষ্টিহীন। এসময় রাজধানীতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি ছাড়া ঢাকা বিভাগও ছিল বৃষ্টিহীন। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের দু/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী দুদিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকা জুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মআ/চখ